এবার রোভ বিটল হানা দিল শিলিগুড়ি শহরেও। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই পোকার হানায় বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্রছাত্রীরা ব্যতিব্যস্ত। অনেকেই আতঙ্কে হস্টেল ছেড়েছিলেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ৫ কিলোমিটার দূূরে শিলিগুড়ি শহরেও বিভিন্ন এলাকায় এই পোকা হানা দিয়েছে বলে খবর মিলেছে। অনেকেই আতঙ্কে ভুগছেন। গলায়, মুখে, গায়ে যেখানেই লাগছে ক্ষতচিহ্নের মতো হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পোকার আতঙ্ক
এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিষাক্ত পোকা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। অনেকেই পোকার হানায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে হস্টেল ছেড়ে চলেও গিয়েছেন। পোকার আক্রমণে ব্য়তিব্যস্ত সাধারণ পড়ুয়ারা। মশারি টাঙিয়েও লাভ হচ্ছে না। পোকা মশারির ফুটো দিয়েও ঢুকে পড়ছে বিছানায়, এতটাই ছোট। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হস্টেলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
কীভাবে ক্ষতি করে এই পোকা?
রোভ বিটেল নামে একটি পোকা অ্যাসিড পোকা নামে পরিচিত। ৭ থেকে ১০ মিলিমিটার লম্বা কালো-কমলা রঙের পোকাটিই এখন আতঙ্ক। এটি কামড়াতে এবং হুল ফোটাতে পারে। সেটির শরীরে পিডেরিন নামে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ থাকে। যা মানুষের ত্বক ও কোষের ক্ষতি করে। পোকা কামড়ালে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, সেখান থেকে শরীরের অন্য অংশে সেই অ্যাসিড লাগলে সেখানে ওই ধরনের ফোসকা বা ক্ষত তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি এই পোকা কামড়ালে জ্বালা-পোড়া, ব্যথা, বমি ভাব, মাথা ব্যথা এমনকী জ্বর হতে পারে, পোকাটি এতটাই ক্ষতি করে, সেটির সংস্পর্শে যদি কারও চোখে ক্ষতি হয় সেই ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।
সমস্যা হল মশারি টাঙিয়েও নিস্তার নেই। কারণ মশারির ছিদ্রর চেয়ে ছোট ও সরু এই পোকা মশারি দিয়েও ঢুকে যাচ্ছে। রাতে আলো দেখলেই ঘরে ঢুকছে। অনেকে আলো নিভিয়ে মোবাইল জ্বেলে কাজ করার চেষ্টা করে আরও বিপদে পড়েছেন, কারণ পোকা আরও কাছাকাছি এসে পড়ছে। সব দিকেই সমস্য়া তৈরি হয়েছে।
কীভাবে আটকাবেন পোকা?
তাই পোকার আক্রমণ প্রতিহত করতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, সেই সঙ্গে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে আগাছা উপড়ে ফেলাটা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। প্রয়োজনে ঘরে সাদার পরিবর্তে হলুদ আলো ব্যবহার করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব প্রয়োজন না হলে আলো নিভিয়ে রাখাই ভালো বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।