গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে প্রাণ দিয়েছেন অনেক গোর্খা। তাঁদের স্মরণে প্রতিবার আজকের দিনে অর্থাৎ ২৭ জুলাই শহিদ দিবস পালিত হয়। এবার পাহাড়ে এই বিশেষ দিনটি পালন করল তৃণমূল কংগ্রেসও। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই খবর সামনে আসার পর অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করছে?
প্রতিবছর ২৭ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে থাকে গোর্খারা। আজ থেকে নয়। সেই ১৯৮৯ সাল থেকে। এখনও পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ১২১৩ জন শহিদ হয়েছেন। ১৯৮৬, ২০০৭, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পাহাড়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে তৃণমূলের আমলেও রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দার্জিলিং। এই দুইবারে ১৩ জন শহিদ হন।
আজ ভানুভবনে শহিদ বেদী স্থাপন করে গোর্খাল্যান্ডের শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন গোর্খা নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের একাধিক তৃণমূল কর্মী ও নেতা। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যেমন CPM নেতা আশোক ভট্টাচার্য এই নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, 'গোর্খাদের বারবার ব্যবহার করে আসছে তৃণমূল ও বিজেপি। আসলে পাহাড়ে শক্তি বাড়াতে যখন যা ইচ্ছে তখন তাই করে এই দুই দল। বিমল গুরুংকে ধরতে গিয়েই মারা যান এক পুলিশ কর্মী। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমলের নামে একাধিক মামলা দায়ের করে। সেই বিমল গিয়ে বিজেপির আশ্রয় নেয়। আবার একুশের ভোটের আগে সেই মমতাই বিমলের নামে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয় ও তাকে ভোটে ব্যবহার করে। এরা আসলে পাহাড়ের মানুষকে ভালোবাসে না। শুধু ব্যবহার করে। গোর্খাদের আজীবন শোসন করে এসেছে। আজও করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুঠ করার খেলায় মেতে উঠেছে দুই দলই।'
আজকের শহিদ স্মরণে তাঁর দলের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে তৃণমূল নেতা এনবি কাওয়াস বলেন, 'গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের শহিদ আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে শহিদ দিবস পালন। তবে ২০০৭, ২০১৩ ও ১৭ সালে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলব।'
অনিত থাপা বলেন, 'প্রতিবার গোর্খাদের শহিদ দিবস পালন করা হয়। তবে এবার করোনার কারণে ছোটো করে হয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের অবদান আমরা ভুলব না'