Malda Gang Rape Case: মালদার গাজোলে স্কুলের ভিতরেই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালদার গাজল থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে দুজন নাবালক। যা প্রকাশ্য়ে আসার পর হইচই শুরু হয়েছে। স্কুলে ছাত্রীকে গণধর্ষণে ২ নাবালক সহ ৩ জন গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকায় স্কুলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছে। তিনি অনুপস্থিতত থাকলে কোনও নিরাপত্তা থাকছে না। মালদায় স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায়, মনে পড়াচ্ছে দিল্লি-কাণ্ড।
আরও পড়ুনঃ বামনগোলায় ৫০০ টাকার জন্য প্রতিবেশীকে পিটিয়ে খুন যুবকের
তিনদিন আগে এক স্কুলছাত্রীকে স্কুলের ভবনে জোর তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক। স্কুলের নির্জন ঘরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে গাজোল থানায় স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মার্চ। গাজলের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। ওইদিন বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে স্কুলে যায় ছাত্রী। তখনও স্কুলে ক্লাস শুরু হয়নি। অভিযোগ সেই সময় নির্যাতিতাকে স্কুলের দোতলার রুমে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলে ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও, একজন মাত্র শিক্ষক। ঘটনার দিন শিক্ষক স্কুলে জাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, অসুস্থ থাকায় তিনি দু’দিন স্কুলে যেতে পারেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছে জেলা প্রশাসনও। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গ্রামে। সম্প্রতি কিছু সময়ে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রীর মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছাত্রীদের কাছ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে দেখেন মেয়ে কান্নাকাটি করছে। এরপরই সমস্ত ঘটনা শুনে স্কুলের শিক্ষককে জানানো হয়। এরপর গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।