scorecardresearch
 

Loksabha Election 2024: স্কুলে নিজের ছবি লাগানো পেন-পেনসিল-পেপার বিলি অনিতের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ অজয়ের

Loksabha Election 2024: পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং ১১ টি জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড় জুড়ে পোস্টারিং করল হামরো পার্টি। রবিবার দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিকে পোস্টার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
অনিতের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ অজয়ের অনিতের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ অজয়ের

Loksabha Election 2024: পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় তৃণমূলের প্রধান সহায় ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM)। এবার তাদের নেতার বিরুদ্ধে জিটিএ-সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন এডওয়ার্ড। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে এই অভিযোগে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজিপিএম। ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) প্রধান অনিত থাপার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন হামরো পার্টির (Humro Party) সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড (Ajay Edward)।

অজয়ের দাবি, ‘ভোটের আগে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে। যা বিধিভঙ্গের শামিল। আঙিনায় টেনে আনা হচ্ছে। অনিত যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি, তাই এমন করা উচিত হচ্ছে না। এই বিষয়টি তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। শুধু প্রশাসক নন, একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতিও। তাই এমন প্রচার স্কুলে সঠিক নয়।’’ বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জিটিএ-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে।

অভিযোগ ঠিক কী?

আরও পড়ুন

বুধবারের অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তের প্রাথমিক স্কুলে স্কুলে অনীতের ছবি দেওয়া ডায়রি বিলি করা হচ্ছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। একমাত্র রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতির ছবি সরকারি কাজে বিজ্ঞাপনে দেওয়া যেতে পারে। ভোটের মুখে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে ছাত্রদের পরিবারকে প্রভাবিত করার জন্য। যদিও অনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘অজয়দের হোমওয়ার্কের অভাব রয়েছে।ওঁরা হয় জানেন না বা জানলেও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিল। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী এবং রাজ্যপালদের ছবিও সরকারি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে। আর জিটিএ প্রধানের পদ রাজ্যের মন্ত্রীর সমতুল্য। যদিও গোটা ঘটনার প্রভাব ভোট ব্যাঙ্কে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না বিজিপিএম।

পাহাড়ে সাড়া জাগিয়ে শুরু করেও, নিজের দলের জনপ্রতিনিধিদের ধরে রাখতে ব্য়র্থ হয়েছেন অজয় এডওয়ার্ড। প্রথমে গত পুরভোটে জিতে দার্জিলিং পুরসভা দখল করে অজয়ের দল হামরো পার্টি। পরে তাঁর দলের অধিকাংশ কাউন্সিলর বিজিপিএমে যোগ দিলে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে যায়। কদিন আগে তাঁরা পাহাড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে কথা না রাখার অভিযোগ তোলে। পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং ১১ টি জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড় জুড়ে পোস্টারিং করে তারা। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলের বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রচার চালাচ্ছে।

Advertisement

 

Advertisement