হাতির আক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। রবিবার এ কথা জানান রাজ্যের বন রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। এদিন দাঁতালের আক্রমণে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়ি যান। তাঁদের সরকারি আর্থিক সাহায্য় তুলে দেন।
কলাবনিতে হাতির আক্রমণে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক, বন রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। নিহতের ছেলে দীপক মাহাতোর হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। সাহায্য করেন তিনি।
এ ছাড়াও পরিবারের একজনকে বন দফতরে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করেন বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। হাতির হামলা ঠেকাতে রাজ্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা করছে। সাংবাদিকদের এদিন বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ৫ লক্ষ টাকার চেক দিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এর ব্য়বস্থা করেছেন।
বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) আরও জানান, হাতির আক্রমণ ঠেকানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে হাতির উপদ্রব আটকানো যেতে পারে। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। দিনের পর দিন আক্রমণ বাড়ছে। তা ঠেকাতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর একটা প্রক্রিয়া আছে।
এর পাশাপাশি, এলাকার মানুষজনকে সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। সন্ধে ৬টার পর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গ্রামবাসীকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করেন তিনি। এছাড়াও কারও বাড়িতে মাদকদ্রব্য রাখতে বারণ করেন বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)।
এদিন শালবনিতে হাতির হানায় নিহতের বাড়িতে দুপুরবেলায় গিয়েছিলেন বীরবাহা হাঁসদা। প্রসঙ্গত, ১৩ জুন, রবিবার সকালে শালবনির বাসিন্দা পাঁড়ু মাহাতো (৭০) হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তিনি কোলাবনি জঙ্গলে কোচড়া ফল কুড়োতে গিয়েছিলেন সেই সময় কলাবনি রাস্তার উপর পিছন থেকে এক দাঁতাল হাতি তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়।
সেই আক্রমণ এর জেরেই প্রাণ হারান পাঁড়ু। এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামবাসী পথ অবরোধ করে। তবে পরে পুলিশ ও বন দফতরের আধিকারিকদের মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষের অবরোধ উঠে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একের পর এক হাতির হানার ঘটনা ঘটেছে। আর এর জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাতির পাল ভেঙে দিয়ে গিয়েছে বাড়িঘর থেকে শুরু করে দোকান। ফসলও ক্ষতি হয়েছে।
তাই এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। হাতির হানা ঠেকাতে রাজ্য যাতে তৎপর সেই দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দাবি পূরণে এর আগেও তারা পথ অবরোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।