পাচারের সময় বিএসএফ উদ্ধার করল ৩২টি বন্য পাখি। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। পাখিগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
মঙ্গলবার বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চোরাচালানের সময় ৩২ টি বন্য পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জওয়ানরা ওই বন্য পাখিগুলি উদ্ধার করে। সেগুলিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পিপলি এলাকার ঘটনা। ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানের সেগুলি উদ্ধার করেছে।
সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) আরও জানাচ্ছে, সোমবার রাত ০৮টা ২০ মিনিট নাগাদ সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি পাচার করা হবে, তার খবর আগে থেকে পেয়েছিল বিএসএফ। সেই মতো তারা প্রস্তুতও ছিল। গোয়েন্দা শাখা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাফেরা লক্ষ করেন। দেখা যায়, তাঁরা পাখির খাঁচা নিয়ে ভারতের দিকে এগিয়ে আসছিলেন।
তখন বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ জানান। এবং তাঁদের ধরার চেষ্টা করেন। তাঁদের সেখানে থামতে বলেন। কেন তারা ওখানে ঘোরাঘুরি করেছন, তা-ও জানতে চান। তবে বিএসএফের জওয়ানদের দেখে পাচারকারীরা হকচকিয়ে যায়। আর তখনই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ওই এলাকায় তল্লাশি করা হয়। সেখান পাওয়া যায় ২টি খাঁচা। যার মধ্যে ৩২টি বন্য পাখি পাওয়া যায়।
এরপর যোগাযোগ করা হয় কলকাতার আলিপুরের চিড়িয়াখানায়। সেগুলি সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যাপারে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কথা হয়।
তাদের এই কাজের প্রশংসা করেছেন ১৫৮ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার। তিনি জানিয়েছেন, জওয়ানদের তৎপরতার জন্য ওই বন্য পাখিগুলি ধরা পড়েছে। তিনি বলেছেন, জওয়ানরা কাজের সময় সতর্ক ছিলেন। তাই এটি সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও পাখি পাচারের সময় সেগুলি উদ্ধার করেছে বিএসএফ। বন্যপ্রাণ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে বলে দাবি করেছেন প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।