ইছামতি নদীর কচুরিপানায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাচারের জিনিস। আটকে দিল বিএসএফ (BSF)। বড়সড় সাফল্য পেল তারা। যে উপায়ে পাচার করাহচ্ছিল, তার কথা জানতে পেরে চমকে উঠেছেন সকলে।
পাচারের সময় উদ্ধার করেছে প্রচুর লাল চন্দন কাঠ (Red Sandalwood) এবং ফেনসিডিল (Phensedyl)। সব মিলিয়ে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। ইছামতি নদীতে কচুরিপানার চলাচল দেখে সন্দেহ হয় টহলরত জওয়ানদের। আর তারপর অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে সেগুলি। তাঁদের এই অভিযানের ব্য়াখ্য়া শুনলে চমকে যেতে হয়।
বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাঁদের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জওয়ানরা প্রচুর নিষিদ্ধ ফেনসিডিল এবং লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছে। উত্তর ২৪ পরগণার গুনারমাঠ এলাকার ঘটনা। তবে কাউকে ধরা যায়নি। পাচারকারীরা পালিয়ে গিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ টহলদরত জওয়ানেরা দেখতে পান ইছমতী নদীতে কচুরিপানার সন্দেহজনক চলাচল। তখন তারা সতর্ক হয়ে যান। কী হতে চলেছে, তার দিকে নজর রাখেন। তখন তাঁদের সন্দেহ হয়।
এরপর ওই জওয়ানেরা রেডিও সেটের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি কোম্পানি কমান্ডারকে জানান। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করা হয়। কোম্পানি কমান্ডার নৌকা করে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। এবার শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। আর তখন তাঁরা চমকে ওঠেন। তল্লাশির সময় কচুরিপানার নিচে থেকে প্লাস্টিকের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বুঝতে পারেন কোথাও গোলমাল রয়েছে।
সেগুলি পরে খোলা হয়। দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে ৪,৯৯৪টি ফেনসিডিলের বোতল এবং ২৬ টি লাল চন্দন কাঠ। যার ওজন প্রায় ৩০৩ কেজি। ফেনসিডিলের বাজার দর ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৩১ টাকা। আর এবং লাল চন্দনের কাঠের মূল্য ৩৯ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা।
এইজিনিসগুলি সীমান্ত ফাঁড়ি গুনারমঠ ১৫৮ ব্যাটালিয়ন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। আটক হওয়া জিনিসগুলি শুল্ক দফতরের পেট্রাপোল অফিসের কাছে হস্তান্তরিত করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার সুরেন্দ্র সিংহ ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, পাচার বন্ধ করতে তৎপর বিএসএফ। এ ব্য়াপারে আরও সতর্ক থাকা হবে।