সম্পর্ক নিয়ে বাড়িতে আপত্তি, হাওড়ার নলপুরে ট্রেনের সমানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুগল

বাড়ি থেকে সম্পর্ক না-মেনে নেওয়ায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর (Howrah-Kharagpur) শাখায় নলপুর (Nalpur) স্টেশনের কাছে। মৃতেরা হল পুনম রায় (২১) ও অনুশ্রী দাস (১৭)।

মৃত যুবক হাওড়া (Howrah)-এর উলুবেড়িয়া কলেজের কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মৃত কিশোরী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শালিমার জিআরপি মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
 
জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় থেকে রাজাপুর থানার ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুরের বাসিন্দা পুনমের সঙ্গে পাঁচলা থানার সাহাপুরের বাসিন্দা অনুশ্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের এই সম্পর্কের কথা দুটি পরিবারের জানার পর দুটি পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। আর সেই কারণে বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে দুজনে পালিয়ে গিয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

সূত্রের খবর, সেইমতো শনিবার অনুশ্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করার পর পুনমের সঙ্গে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে যায়। এদিকে মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাবার পর শনিবার রাতেই অনুশ্রীর বাবা পাঁচলা থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।

অন্যদিকে, ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় সোমবার পুনমের বাবা দিলীপ রায় রাজাপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যায়। দিলীপ রায়ের অভিযোগ, সোমবার তিনি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, শনিবার দুজনে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পাঁচলা থানার পুলিশ আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। এদিকে ,সোমবার দুটি থানার পুলিশ তাদের খোঁজ করছে, এই খবর পাওয়ার পর পুনম ও অনুশ্রী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন।

রাতে নলপুর স্টেশনের পাশে উপস্থিত হয়। পরে রাতে দুজনের ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়। রাতেই জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এদিকে দুই যুগলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য দুজনের সম্পর্ক বাড়ি থেকে মেনে না নেওয়ায় এর আগেও দুজনে একাধিকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিল এবং ফিরে এসেছিল। যদিও এবারে আর তাদের বাড়ি ফেরা হল না।