scorecardresearch
 

মর্মান্তিক ! হাবড়ায় দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা

দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায়। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Advertisement
দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় (প্রতীকি ছবি) দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
  • মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায়
  • এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া

দেনার দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায়। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

পুলিশ ও  স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত বছরের শিশু সন্তান সহ বাবার মৃতদেহ উদ্ধার হাবড়ায়। ছেলেকে খুন করেই বাবা আত্মঘাতী দাবি পরিবারের। 

ছেলেকে মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার শ্রীনগর এলাকায়। মৃতরা হলো উদৃত ঘোষ (৭) ও তার বাবা উত্তম ঘোষ (৩৪)। ছেলে উদৃত হাবড়ার প্রফুল্লনগর এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ায় স্কুলে বই আনতে গিয়েছিল তার মা তানিয়া ঘোষ।

স্কুলে গিয়ে বই আনার কার্ড (স্লিপ) না পেয়ে স্বামীকে ফোন করতে থাকে। কিন্তু স্বামী ফোন না ধরায় থেকে স্কুল থেকে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ শ্রীনগরের বাড়িতে চলে আসে তানিয়া। বাড়িতে ফিরে দেখতে পায় দরজার ভেতর থেকে কোলাপসিবল গেটের তালা দেওয়া।

এরপর ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দরজা খুলে দেখা যায় খাটের উপরেই পড়ে রয়েছে উদৃত এর নিথর দেহ। অন্যদিকে ঘরের সিলিং ফ্যান এর সঙ্গে মাফলারের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উত্তম ঝুলছে। 
তড়িঘড়ি দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে। ওই ঘটনায় এলাকায় নেমে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
 
উত্তমের স্ত্রী তানিয়া জানায় স্বামী পোশাক তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। তবে দেনা মেটানোর জন্য তার বাপের বাড়ি এবং ব্যাংকে থাকা টাকা থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরেও কী কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।

Advertisement

উদৃতর জ্যাঠামশাই অলোক ঘোষ জানান "খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে বাড়িতে ছুটে আসি এবং দরজা ভেঙে দেখতে পাই যে খাটের উপর বাচ্চাটি শুয়ে আছে এবং উপর থেকে সিলিং থেকে ঝুলছে তার বাবা। ছেলেকে মেরে বাবা আত্মঘাতী হয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।"

তবে কী কারনে এই আত্মহত্যা বা এর পেছনে পারিবারিক অশান্তি রয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

Advertisement