scorecardresearch
 

সাংসারিক অশান্তির জের, দামোদরে আত্মঘাতী দুর্গাপুরর দম্পতি

পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন এক দম্পতি। মঙ্গলবার দামোদর (Damodar) নদে ঝাঁপ দেন তাঁরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাঁরা দুর্গাপুর (Durgapur)-এ বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন।

Advertisement
এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে দামোদর নদ থেকে। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে। ছবি: অনিলি গিরি এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে দামোদর নদ থেকে। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে। ছবি: অনিলি গিরি
হাইলাইটস
  • পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন এক দম্পতি
  • মঙ্গলবার দামোদর নদে ঝাঁপ দেন তাঁরা
  • পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে

পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন এক দম্পতি। মঙ্গলবার দামোদর (Damodar) নদে ঝাঁপ দেন তাঁরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাঁরা দুর্গাপুর (Durgapur)-এ বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সম্ভবত পারিবারিক গোলমালের জেরে এই ঘটনা। দামোদর (Damodar) নদের জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্বামী-স্ত্রী। এদিন সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ দুর্গাপুর (Durgapur) ব্যারেজের বাঁকুড়ার দিকে থাকা দামোদর নদের জলে ঝাঁপ দেন তাঁরা।

পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানতে পেরেছে। তাঁরা হলেন রুম্পা সাহু মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ মুখোপাধ্যায়। দুজনেই দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত বামুনারার কাছে বেসরকারী এক হাসপাতালে কাজ করতো। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর ডেভিড মোড় সংলগ্ন বস্তিতে থাকতেন দুই জন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

আরও জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে প্রণয়ের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয়েছিল সৌরভ আর রুম্পার। আত্মহত্যার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় বড়জোড়া থানার পুলিশ। শুরু হয়ে যায় তল্লাশি অভিযান।

প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় পুলিশ দুই স্বামী স্ত্রীর নিথর দেহ দামোদরের জল থেকে উদ্ধার করে। সৌরভের বয়স আনুমানিক ২৪ বছর। আর রুম্পার বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। তাঁদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এদিন সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। একটি স্কুটি উদ্ধার করা হয়েছে দামোদর নদের পাড় থেকে। এই স্কুটির নম্বর ধরে পুলিশ জানার চেষ্টা করছিল দুই জনের পরিচয়। দুর্গাপুর স্টিল টউনশিপ সংলগ্ন চিত্রালয় বস্তি সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দা রাধা সাহুর নাম পাওয়া গিয়েছিল স্কুটির নম্বর অনুযায়ী। পরে পুলিশ তাঁদের নামধাম জানতে পারে। এবং খবর পাঠানো হয় বাড়িতে।

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। পারিবারিক বিবাদ, না অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তের পহর ঘটনার কারণ জানা যেতে পারে।

Advertisement

 

Advertisement