scorecardresearch
 

মুকুল 'Gold', গদ্দারদের দলে ফেরত নয়, মমতার ইঙ্গিত পরিষ্কার?

গদ্দারদের দলে ফেরাবে না তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই ঘোষণায় শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে ফেরার রাস্তা কী চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল? শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সেই সঙ্গে আরও যাঁরা নির্বাচনের আগেই দল ছেড়েছেন, তাঁদেরও কি রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দিলেন দিদি?

Advertisement
এই দৃশ্য এখন অতীত এই দৃশ্য এখন অতীত
হাইলাইটস
  • গদ্দারদের দলে ফেরাবেন না মমতা
  • দিদির গদ্দারদের তালিকায় শুভেন্দু শীর্ষে
  • শুভেন্দু ছাড়া আর কাদের আশায় জল ঢাললেন মুখ্যমন্ত্রী?

মুকুলের সুতোয় মালা গাঁথতে চাইছেন বিজেপির বেসুরো নেতারা

মুকুল রায় সবে চার বছরের দীর্ঘ বিজেপিবাস কাটিয়ে ঘরে ফিরেছেন। তাঁর সফল প্রত্যাবর্তনে বহু বেসুরো বিজেপি নেত্রী ফের তৃণমূলের ফেরার স্বপ্ন দেখছেন। অনেকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেউ কেউ আবার মুকুলের হাত ধরে দলে ফিরতে ছিপ ফেলছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর।

গদ্দারদের দলে ফেরাবেন না মমতা

এরই মাঝে মুকুল রায়কে দলে পুনর্বাসন দিয়ে পাশে বসিয়ে, গদ্দারদের দলে না ফেরানোর কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে অনেকের কপালে নতুন করে ভাঁজ তৈরি হয়েছে।

গদ্দারদের তালিকার শীর্ষে শুভেন্দুই

মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, মুকুল রায় সোনা। 'ওল্ড ইজ গোল্ড'। কিন্তু নির্বাচনের আগে যাঁরা দলের সঙ্গে গদ্দারি করে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁদের কোনও মতে ফেরানো হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারও নাম বলেননি। কিন্তু ইঙ্গিত এর শীর্ষে প্রথম নাম যেটি ভেসে আসছে, সেটি হল শুভেন্দু অধিকারী।

মমতার শুভেন্দু কাঁটা

তৃণমূলকে গত কয়েক মাসে সবচেয়ে বেশি যিনি ভুগিয়েছেন, তিনি এই শুভেন্দু অধিকারীই। পাশাপাশি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই অতি আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু। লাগাতার চোখা চোখা মন্তব্য করেছেন তৃণমূল থেকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকী দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেত্রীকে মমতা বেগম বলেও সম্বোধন করেছিলেন।

নির্বাচনে হারে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মমতার

পাশাপাশি নির্বাচনে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজয়ী ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পর ফের শুভেন্দুকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। মমতা মনে করেন, তাঁকে চক্রান্ত করে ইভিএম-এ কারসাজি করেই হারানো হয়েছে। ফলে তাঁর শুভেন্দু বিদ্বেষ এখন চরমে। শুভেন্দু হেরে গেলেও কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেওয়ায় তাঁর সে রাস্তা বন্ধ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

Advertisement

শুভেন্দুর সঙ্গে কী কপাল পুড়লো অন্য় গদ্দারদেরও?

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী গদ্দারদের ফেরানো হবে না বলে মন্তব্য করে দেওয়ার পরেই শুভেন্দুর দলে ফেরার পথ চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মুকুল রায়ের হাত ধরে আরও কয়েক জন তৃণমূলে ফেরার জন্য লাইনে রয়েছেন। তাঁর মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত সহ একাধিক নেতা। যদিও সব্যসাচী দত্ত এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর মতো চরমপন্থী না হলেও দুজনই নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ফলে তাঁদের দলে ফেরার রাস্তা বন্ধ হলো কি না, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ এঁদের দলে ফেরা সময় অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিতে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁদেরও কপাল পুড়লো কি না তা নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

 

Advertisement