scorecardresearch
 

পাকা সেতুর দাবি অপূর্ণই, হুগলি-পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭ হাজার মানুষের ভরসা নৌকা

একদিকে হুগলি, অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর। মাঝে নদী। পারাপার করতে ভরসা নৌকা। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি, পাকা সেতু। কিন্তু তা এখনও হয়নি।

Advertisement
নেই পাকা সেতু। চলছে ঝুঁকির পারাপার। হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ভরসা নৌকা। ছবি: ভোলনাথ সাহা নেই পাকা সেতু। চলছে ঝুঁকির পারাপার। হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ভরসা নৌকা। ছবি: ভোলনাথ সাহা
হাইলাইটস
  • একদিকে হুগলি, অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর
  • পারাপার করতে ভরসা নৌকা
  • স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি, পাকা সেতু। কিন্তু তা এখনও হয়নি

একদিকে হুগলি, অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর। মাঝে নদী। পারাপার করতে ভরসা নৌকা। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি, পাকা সেতু। কিন্তু তা এখনও হয়নি।

হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার খানাকুল-২  ব্লকের ধন্যঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দর এলাকা ও মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার দুই জেলার মানুষের দাবি কংক্রিটের সেতুর তৈরির। এখানের ভৌগোলিক মানচিত্রে এপাড়ে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা ও অন্যপাড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা। সম্পূর্ণভাবে কৃষিপ্রধান অঞ্চল।

এবং দুই পাড়েই রয়েছে বিশাল ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এছাড়াও গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শিল্প। এই এলাকায় কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি দুই জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে বহুবার দরবার করেছেন দুই জেলার মানুষজন। সেতু তৈরি না হওয়ায় থমকে গিয়েছে এলাকার উন্নয়ন।

যোগাযোগের ব্যবস্থা একমাত্র নৌকায় ভরসা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে অসুস্থ রোগী ও নিত্যযাত্রীরা এভাবেই নৌকা করে যাতায়াত করেন দুই জেলার মানুষ। এখানে সেতু তৈরি হলে দুই জেলার মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে এবং এলাকায় উন্নয়ন ঘটবে।

সারাদিনে এই ফেরিঘাট দিয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের মানুষ কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা এসে এলাকার মানুষদের গালভরা ভাষণ দিয়ে চলে যান। রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাজারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলেই আর তাদের দেখা মেলে না কারও।

বর্তমান শাসকদল তৃণমূল ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, খানাকুলের সর্বপ্রথম কাজ হবে এই এলাকায় দুই জেলার যোগাযোগের স্থল এখানে কংক্রিটের সেতু তৈরি হবে। কিন্তু তারপর থেকে এত দিন পার হয়ে গেল কোনও উদ্যোগ দেখা গেল না। হতাশা নেমেছে  এখানকার মানুষের মনে। তাহলে কি এভাবেই বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে তাদের? এই ফেরিঘাটে টাকা দিয়ে নৌকায় পারাপার করেন দুই পারের মানুষ। এবং খুব ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হয়।

Advertisement

এই ঘাট পরিচালনা করার জন্য সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ডাক হয় ব্লক থেকে। এলাকার মানুষের অভিযোগ তারা অসহায় সরকারের কাছে বহুবার জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি আগামী দিনে সেতু তৈরি হবে কিনা তাও তাদের জানা নেই। কোনও এক সময়ে মাপজোক হয়েছিল তারপরে আর কোন সাড়া নেই।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা অভাব রয়েছে। ফেরি পারাপার সময় কোনও নিরাপত্তা রক্ষী থাকে না এবং বর্ষায় জল বাড়লে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। সম্পূর্ণভাবে নৌকা বন্ধ থাকে। তখন ভরসা ঘুরপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা।

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দুখিরাম দোলুই বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির টাকা না থাকলে কী করে তা সম্ভব? আমার তো কাজ করার খুব ইচ্ছা। ইচ্ছা থাকলেও করার কিছুই নেই।

 

Advertisement