scorecardresearch
 

Gangasagar Housewife Suicide : পণের টাকা না দেওয়ায় সন্তান ধারণে বাধা শ্বশুরবাড়ির! আত্মহত্যা গৃহবধূর

গত চার বছর আগে সাগর কলেজে পড়ার সময় সুজন পাইক নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা জানার। ভালোবেসে বিয়েও করেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মৌমিতার ওপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে ভালোবেসে বিয়ে করায় শ্বশুরবাড়ির সমস্ত অত্যাচার সহ্য করে নিতেন মৌমিতা। 

Advertisement
আত্মঘাতী গৃহবধূ আত্মঘাতী গৃহবধূ
হাইলাইটস
  • গঙ্গাসাগরে আত্মঘাতী গৃহবধূ
  • শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
  • এখনও অধরা অভিযুক্তরা

পণের টাকা না দিলে সন্তান ধারণ করা চলবে না, ফতোয়া শ্বশুর। অত্যাচারে আত্মঘাতী গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের মহিষামারী বাংলাবাজার এলাকায়। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। 

জানা গিয়েছে, গত চার বছর আগে সাগর কলেজে পড়ার সময় সুজন পাইক নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা জানার। ভালোবেসে বিয়েও করেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মৌমিতার ওপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে ভালোবেসে বিয়ে করায় শ্বশুরবাড়ির সমস্ত অত্যাচার সহ্য করে নিতেন মৌমিতা। 

সম্প্রতি অত্যাচারের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় বাবা-মাকে বিষয়টি জানান মৌমিতা। পণের টাকা না দিলে সন্তান ধারণ করা চলবে না, শ্বশুরবাড়ির তরফে এমন ফতোয়া জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সব শুনে বাবা-মা তাঁকে গতকাল অর্থাৎ তিন তারিখ বাপের বাড়িতে আসার জন্য বলেন। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে গতকাল বাপের বাড়ি যাননি মৌমিতা। এরপর সোমবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। 

খবর পেয়ে সাগর থানার পুলিশ গিয়ে মৌমিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনায় সুজন পাইক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

আরও পড়ুনছুটিতে দক্ষিণ ভারত ঘোরার প্ল্যান? সস্তায় প্যাকেজ ট্যুর IRCTC-র


 

Advertisement