Taliban to form Government: আফগানিস্তান (Afghanistan)-এ কাল, শুক্রবার সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবান (Taliban)। সপ্তাহ দুয়েক তারা ক্ষমতা দখল করেছে। এবার তারা সরকারি গঠনের জন্য তৈরি। শুক্রবার নমাজ (Namaz)-এর পর তারা সরকার তৈরি করবে।
কাবুল দখল
১৫ অগাস্ট আফগানিস্তান (Afghanistan)-এর রাজধানী কাবুল (Kabul) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। বড়সড় কোন গোলমাল ছাড়াই সে কাজ সেরে ফেলেছিল তারা। তবে তারপর অনেক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে তালিবান। সেখানে দু'দশক আমেরিকার সেনা ছিল।
তালিবানের প্রতিশ্রুতি
আফগানিস্তান (Afghanistan)-এর দখল নেওয়ার পর তালিবান আশ্বাস দিয়েছিল, সেখানে শান্তি বজায় রাখা হবে। সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এবার তারা সরকার গড়তে চলেছে। বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে আফগানিস্তান (Afghanistan)-কে। আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। তেমন হলে আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হবে।
আর কী জানাচ্ছে তালিবান?
তালিবান (Taliban)-দের অন্যতম শীর্ষনেতা মোল্লা খেরুল্লাহা খানখাহ জানান, তাঁরা আফগানিস্তান (Afghanistan)-এর সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সেই ঘোষণ করে দিয়েছেন। তাই কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
অন্য এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন
তালিবান (Taliban)-এর আর এক শীর্ষ নেতা আবদুল সালাম হনফি বলেন, আমরা আফগানিস্তানের সব মানুষকে ভরসা দিতে চাই। কারও কোনও ক্ষতি হবে না। সব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। আর তাঁদর সব রকমের সুবিধা দেওয়া হবে।
আবদুল সালাম হনফি আরও জানান, তারা দুনিয়ার সবাইকে জানাতে চান, এখাকার নাগরিকেরা সুরক্ষিত থাকবেন। কোনও দেশের বিরুদ্ধে নিজেদের দেশের জমি ব্যবহার করা হবে না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে তলা হবে।
দিন কয়েক আগেকার দৃশ্য। যা কাঁপিয়ে তুলেছিল সারা দুনিয়াকে। বিমান থেকে ঝুলছে দু'জন। আর একটু পরেই তারা পড়ে যাবে। নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য তারা। কারণ দেশ চলে গিয়েছে তালিবান (Taliban)-দের হাতে। তাদের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না। তাই তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে পড়েছিলেন চলন্ত বিমানে।
মর্মান্তিক পরিণতি
তবে তাদের আশা পূরণ হয়নি। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। বিমান থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে তারা একটা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যা এখন অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তালিবান শাসনে মানুষের স্বাধীনতা বলে কি আছে কিছু? তালিবান যতই নিজেদের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করুক, বিবৃতি দিক, তাদের কাজকারবার কিন্তু একেবারে উল্টো।
মানুষকে জোর করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তেমনই মহিলাদের ওপরও বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। তারা আগাম বুঝেছিল। তাই দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য এতটা মরিয়া চেষ্টা।
বিমানের চাকায় ঝোলা
মার্কিন সেনা বিমান থেকে পড়ে মারা গিয়েছে তারা। আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। কাবুল বিমানবন্দরের তারা বিমানে ঝুলে পড়েছিল। আর বিমান ছাড়তেই বিপর্যয়। একটি বিন্দুর মতো বিমান থেকে পড়ে যান। সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। আর তা ভাইরাল হয়ে যায়।