Afghanistan TV Anchor: ভয় পাবেন না। এ কথাইগুলোই ভেসে উঠল। আর দেখা গেল অভাবনীয় দৃশ্য। কথাগুলো বলছেন এক আফগান টিভি অ্যাঙ্কর। এতে আপত্তিরকী থাকতে পারে? থাকতে পারে। কারণ তাঁর পিছনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে দুই তালিবান।
বাধ্য হয়ে প্রশংসা
কথায় বলে, একটা ছবি হাজার কথা বলে। আর এই ছবিটা সে কথা যেন ফের প্রমাণ করল। তিনি যে বলতে বাধ্য হয়েছেন, সে কথা আলাদা করার অপেক্ষা রাখে না। কারও পিছনে অস্ত্র হাতে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকলে তারা যা চাইবে সে কথা তো বলতেই হবে। তাই তিনিও প্রশংসা করলেন। আর উপায় কই! তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
This is surreal. Taliban militants are posing behind this visibly petrified TV host with guns and making him to say that people of #Afghanistan shouldn’t be scared of the Islamic Emirate. Taliban itself is synonymous with fear in the minds of millions. This is just another proof. pic.twitter.com/3lIAdhWC4Q
— Masih Alinejad 🏳️ (@AlinejadMasih) August 29, 2021
কথা রাখল কই
তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। তারা কথা দিয়েছিল, কারও কোনও অসুব্ধা হবে না। সে কথা এখন পরিহাস ছাড়া আর কিছুই না। সবাই আতঙ্কে দেশ ছাড়তে চাইছেন। আর টিভি অ্যাঙ্করের ছবি দেখে সবাই স্তব্ধ। সত্যি, কী বা বলার থাকতে পারে!
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা বার বার কথার খেলাপ করেছে। ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তারা।
দিন কয়েক আগে টোলো নিউজের রিপোর্টার এবং এক ক্যামেরাম্যানকে মারধর করা হয়েছিল। সেটি কাবুলের ঘটনা। তখন তাঁরা শহর থেকে খবর পরিবেশন করছিলেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার আরও ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেটা হল নানহারহার জেলায়। সেখানকার জালালাবাদে এবং কাবুলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়।
বাড়িতে হামলা
শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের আত্মীয়কে মারধর করা হয়েছে। এক জার্মান সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিকের আত্মীয়কে খুন করা হয়েছে।
সেনা প্রত্যাহার
আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর তার পর থেকেই সে দেশে তালিবানদের ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে এমনই দেখা যাচ্ছে।
অধরা এক টুকরো
এখনও এই অঞ্চল অর্থাৎ পঞ্জশির অধরা রয়েছে তালিবানদের কাছে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চলেছে। তবে এখন সিজফায়ার নিয়ে সমঝোতা হতে চলেছে।