scorecardresearch
 

Global Study : বাড়ছে 'হঠাৎ খরা', ভারতেও ৫ দিনেই শুকিয়ে যাচ্ছে খেত

অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি এবং টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত দুই দশকে ঘটে যাওয়া এই ধরনের আকস্মিক খরার ঘটনা বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে যে এগুলির আগমনের সংখ্যা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে খুব দ্রুত। ভবিষ্যতেও, এগুলি নিজেদের তীব্রতা বজায় রাখতে পারে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • আতঙ্ক বাড়াচ্ছে হঠাৎ খরা
  • ব্যতিক্রম নয় ভারতও
  • ক্ষতি হচ্ছে ফসলের

দেশে বা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় হঠাৎ বন্যার খবর। এবর ঠিক তেমনই ঘটতে শুরু করেছে 'আকস্মিক খরা'র ঘটনাও। আকস্মিক এই খরার  (Flash Drought) ফলে যে কোনও জায়াগার মাটি কয়েকদিনে বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যায়। আর এই ঘটনা এত দ্রুত ঘটে যে নষ্ট হয়ে যায় মাঠের ফসল, বা সবুজ জঙ্গল। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। 

অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি এবং টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত দুই দশকে ঘটে যাওয়া এই ধরনের আকস্মিক খরার ঘটনা বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে যে এগুলির আগমনের সংখ্যা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে খুব দ্রুত। ভবিষ্যতেও, এগুলি নিজেদের তীব্রতা বজায় রাখতে পারে। 

৩-১৯ শতাংশ আকস্মিক খরা ঘটে ৫ দিনে
দেখা গিয়েছে ৫ দিনের মধ্যে ঘটা এই ধরনের আকস্মিক খরা ৩ থেকে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় এই তীব্রতা দেখা গিয়েছে ২২ থেকে ৫৯ শতাংশ। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যাকসান স্কুলের অধ্যাপক জং লিয়াং ইয়াং জানান, ক্রমবর্ধমান বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে। প্রতিবছরই বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে। 

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটি নয়া বিষয়
Nature Communications জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল এই সমীক্ষার রিপোর্ট। অধ্যাপক জং লিয়াং ছাড়াও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন, ডক্টরেট ছাত্র ইয়ামিন কিং এবং অধ্যাপক ড. শুও ওয়াং। বিজ্ঞানীদের মতে, আকস্মিক খরার ঘটনা বিজ্ঞানের জন্য সম্পূর্ণ নতুন। এর অধ্যয়নের জন্য, বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইটগুলি গত দুই দশক ধরে কাজ করছে।

Advertisement

আকস্মিক খরা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও তবে অল্প সময়ের মধ্যে বড় ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ২০১২ সালে মধ্য আমেরিকায়, আকস্মিক খরা হঠাৎ করেই ভুট্টা নষ্ট করে দেয়। যার কারণে ৩৫.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২.৭১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। 

কারণ কী? 
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে ৩৪ থেকে ৪৬ শতাংশ আকস্মিক খরার ঘটনা পাঁচ দিন বা তার কম সময়ে ঘটে। ৭০ শতাংশ ঘটনা এক মাসে বা তার কম সময়ে ঘটে। অর্থাৎ একই সময়ের মধ্যে জমি বা ফসল শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর্দ্রতার মধ্যে হওয়া ঋতু পরিবর্তনের কারণেই এমনাট ঘটে বলে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুনবিয়ার দিয়ে পরিচর্যা করলে চুল হয় নরম ও মোলায়েম, কীভাবে ধোবেন?


 

Advertisement