Paksitan Facing Trouble To Buy Even Cheap Poori-Sabji: পুরি-সবজি কিংবা পুরি-হালুয়া। ভারত-পাকিস্তান সহ উপমহাদেশের অনেক জায়গারই সকালের প্রিয় খাবার। বিশেষ করে উত্তর ভারতীয় খাদ্যাভ্যাসে এটি জনপ্রিয় এতটাই শুধু ব্রেকফাস্ট নয়, দিনভর মুখের সামনে তুলে দিলেও কেউ অখুশি হন না। আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও যেহেতু খাদ্যভ্যাস আমাদের মতোই তাই সেখানেও ব্যাপারটি তেমন আলাদা কিছু নয়। লোকেরা এই জিভে জল আনা এই জলখাবার উপভোগ করেন নানা উপায়ে। সবচেয়ে বড় কথা এটি এতটাই সহজলভ্য ও সস্তা, যে আপনি আক্ষরিক অর্থেই যখনই খেতে চান তখন খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ Doors Honey: সুন্দরবনের মধুকে টক্কর দিতে আসছে 'ডুয়ার্স হানি', পুজোর আগেই
এখন পাকিস্তানে এখন এই জনপ্রিয় এবং পছন্দের খাবারের প্রতি মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু কারণ কী? আসলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অত্যাধিক দামে এই রাস্তার ধারের সহজলভ্য খাবারও মহার্ঘ হচ্ছে পাকিস্তানে। তাই ইচ্ছে থাকলেও সেদিকে ভিড়তে পারছেন না সাধারণ পাকিস্তানি জনতা। মুখ থুবড়ে পড়ছে এখানকার জনপ্রিয় খাবারের বাজার। ক্রেতা ও বিক্রেতা মুষড়ে পড়েছেন উভয়ই।
রাস্তার ধারে স্ট্রিড ফুট বিক্রেতা মহম্মদ জাভেদ আব্বাসির মতে, “মুদ্রাস্ফীতি অবশ্যই আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এটি প্রত্যেকের জন্যই একটি সমস্যা তৈরি করেছে। আমাদের গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে, হালুয়া-পুরি খাওয়া মানুষের সংখ্যাও কিছুদিন থেকে অনেক কম।”
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, গমের আটা এবং তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুতের আকাশছোঁয়া দাম পর্যন্ত পুরী-সবজি প্রস্তুতকারকদের বাধ্য করেছে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিতে।
পাকিস্তান স্ট্যাটিসটিক্স ব্যুরোর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে পাকিস্তানের annual consumer price জুলাই মাসে ২৪.৯ শতাংশে এ পৌঁছেছে, যা ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।