বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু যুবক দীপু দাসকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আজ ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় কলকাতার বেকবাগানে।
বেকবাগানের বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে আজ প্রতিবাদ দেখাতে থাকে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। তারপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে লড়াইতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।
সেখানে স্লোগান দিতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের মুখ থেকে শোনা যায় 'হিন্দুদের রক্ত, হবে না তো ব্যর্থ'-এর মতো স্লোগান।
এছাড়া সেখানে পোড়ানো হয় কুশপুতুল। পাশাপাশি বাংলাদেশের পুলিশকে দালালও বলা হয়। যদিও পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভরত মানুষজন দু'টি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। তারপরই শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এমনকী লাঠিচার্জ শুরু হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীর একাংশকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে করে দেওয়া হয়। কাউকে আবার ধাক্কা দিয়েই বের করে দেওয়া হয় ওই জায়গা থেকে।
পুলিশের সঙ্গে এহেন সংঘর্ষে একাধিক আন্দোলনকারী রক্তাক্ত হয়ে যান বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়টা সম্পর্কে এখনও মুখ খোলা হয়নি।
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মাইকিং শুরু করে দেয়। এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন আইনশৃঙ্খলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এ দিন শিয়ালদা স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। সেখানে থেকে মিছিল করে এগিয়ে যায় বেকবাগানের দিকে।
সেখানে পৌঁছে যাওয়ার আগেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। তবে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার পরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।