বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় নায়িকা তানজিন তিশা। তাঁর রূপে মুগ্ধ সব পুরুষেরা।
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করলেন টলিপাড়ার প্রযোজক সরিফুল ধাবক।
জানা গিয়েছে, প্রযোজক তানজিনের জন্য ভিসার স্লট ঠিক করার পরেও নানা টালবাহানা করে তা এড়িয়ে যান। তারপরে আর ভিসা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশী নায়িকার জন্য শ্যুটিংয়ের সময়ও বার বার পিছোনো হয়।
কিন্তু জানা গিয়েছে, কাউকে কিছু না জানিয়ে তানজিন তিশা আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন।
প্রযোজক এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভালোবাসার মরশুম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশি ১১ লক্ষ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। চুক্তিপত্রের সময় তিনি দুই দফায় ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা নেন।
বাকি টাকা শ্যুটিং ও ডাবিংয়ের সময় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছবিটিতে অভিনয় না করা সত্ত্বেও তিনি তাঁর অগ্রিম ফেরত দিচ্ছেন না।
প্রযোজক জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভুল তথ্য ও গুজব নিয়ে মুখ খুলেছেন তানজিন তিশা। এক অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রটনা বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিশা তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চুক্তিপত্র অনুযায়ী তার বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব, যেমন- ভিসা করানো, ফ্লাইটের টিকিট এবং সেখানে থাকা-খাওয়ার সকল দায়-দায়িত্ব পরিচালক ও প্রযোজকের ছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থা তার ভিসা করাতে পারেনি। অভিনেত্রী নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থা তার ভিসা করাতে পারেনি। অভিনেত্রী নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন।
ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা যেহেতু চুক্তিপত্র অনুযায়ী পরিচালকের দায়িত্বে ছিল, তাই এই ব্যর্থতার জন্য আইনত কোনো দায় তার নয় বলে মনে করেন তিশা। এটি সরাসরি পরিচালকের ব্যর্থতা।
তিশা আরও জানান, দুই মাস ভিসার জন্য অপেক্ষার পরেও যখন তা হয়নি, তখন প্রযোজনা সংস্থা অন্য একজন অভিনেত্রীকে চুক্তিভুক্ত করে তার চরিত্রে অভিনয় করায়।
এর ফলে বাধ্য হয়েই তিনি এই প্রজেক্ট থেকে সরে আসেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের একটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন, যার শ্যুটিং বর্তমানে চলছে।