Advertisement

বলিউড

Lata Mangeshkar and Visva-Bharati University : 'ঠাকুরঘর সে প্রসাদ লেনে আয়ে হ্য়ায়,' শান্তিনিকেতনে বলেছিলেন লতা

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • শান্তিনিকেতন,
  • 07 Feb 2022,
  • Updated 12:13 PM IST
  • 1/11

Lata Mangeshkar and Visva-Bharati University: 'ঠাকুর ঘর সে প্রসাদ লেনে কে লিয়ে আয়ে হ্যায় হাম,'  শান্তিনিকেতন (Santiniketan)-এ এসে জানিয়ে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshka)। 

আরও পড়ুন: তুলসী-জোয়ান চা ইমিউনিটি বাড়ায়, জানুন আর কী কী গুণ

  • 2/11

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) ছিল তাঁর খুব প্রিয় একজন মানুষ। তাই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University), শান্তিনিকেতন (Santiniketan)-এ  আসতে পেরে তিনি (Lata Mangeshka) খুব খুশি হয়ে ছিলেন। আম্রকুঞ্জে এসে তিনি জানিয়েছিলেন গুরদেবের এই পবিত্রভূমিতে আসতে পেরে খুব খুশি। 

আরও পড়ুন: নবোদয় বিদ্যালয়ে ১,৯২৫ পদে চাকরি, আবেদন-শেষ দিন কবে?

  • 3/11

তাঁর (Lata Mangeshka) ইচ্ছে ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত (Rabindra Sangee)-এর পুজারী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি অ্যালবাম করার। যা আর করা হয়নি। ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম (Deshikottam) দেয় বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshka)-কে। সেই একই অনুষ্ঠানে আর দেশিকোত্তম (Deshikottam) দেওয়া হয় আর এক রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে হয়ে ছিল সমার্বতন অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন: গোসাবায় বাঘের হানা, মেরেছে গরু-ছাগল, আতঙ্কে কাঁপছেন স্থানীয়রা

  • 4/11

এই বিষয়ে তৎকালীন পাঠভবনের শিক্ষক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, "যেদিন সমার্বতন অনুষ্ঠান হয়ে ছিল সেদিন রাতে উপাচার্যের বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লতা মঙ্গেশকর(Lata Mangeshka)-সহ অনান্য অতিথিরা। লতা (Lata Mangeshka)-দি তাঁর ছোট বোন উষা মঙ্গেশকরকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। সবাই ঘরোয়া আড্ডায় মেতে উঠে ছিলেন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছিলেন তিনি। শান্তিনিকেতনে আসতে পেরে তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন।"

আরও পড়ুন: করোনাকে বাইপাস করতে ভোটপ্রচারে সিপিআইএমের ভরসা ই-পথসভা

  • 5/11

তিনি আরও বলেন, "লতা মঙ্গেশকর আফশোস করেছিলেন যে তিনি শান্তিনিকেতন পড়ার সুযোগ পাননি। উনি বলেছিলেন, শান্তিনিকেতনে যদি আরও আগে আসতে পারতাম তাহলে আমি আমার বিশ্বকে আরও নতুন ভাবে দেখার সুযোগ পেতাম।"

আরও পড়ুন: অকালে চুল পেকে-ঝরে যাচ্ছে? সমাধানে আয়ুর্বেদ যা বলছে

  • 6/11

এই বিষয়ে শিল্পী প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় বলেন, "কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের যোগাযোগ ছিল। লতা মঙ্গেশকর  শান্তিনিকেতনে এসে যখন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হল, তিনি কণিকা দেবীর পা ছুঁয়ে প্রনাম করলেন।"

  • 7/11

১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে প্রথা মেনে আম্রকুঞ্জে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান হয়েছিল। মঞ্চ থেকে উপাচার্য দিলীপকুমার সিংহ  দেশিকোত্তম প্রাপকদের নাম একের পর এক ঘোষণা করছিলেন।

 

  • 8/11

লতা মঙ্গেশকরের নাম যখন ঘোষণা করা হয় হল তখব তিনি মঞ্চের মাঝে এসে দাঁড়ালেন এবং বললেন, "গুরুদেবের দরবারে এসেছি একটু প্রসাদ নিয়ে যাব না? আমি কি সরস্বতী বন্দনার স্তোস্ত্র পাঠ করতে পারি?" 

  • 9/11

আম্রকুঞ্জে বসে থাকা ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মীদের কাছে অনুমতি  চাইলেন। পরে যখন তিনি যখন গান করলেন তার গলা শুনে সবাই মুগ্ধ। অনেকের চোখে জল। পরে তিনি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিনিকেতনের বাড়ি 'আনন্দধারা' আসেন। সঙ্গে ছিলেন ঊষা মঙ্গেশকর। 

 

  • 10/11

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্বন্ধে প্রচুর গল্প শুনে ছিলেন। তাই এসেই তিনি ইচ্ছে প্রকাশ করে ছিলেন কণিকা দেবীর পরিচালনায় একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের এলব্যাম করবেন। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। শান্তিনিকেতনে এসে লতা মঙ্গেশকর উঠে ছিলেন ছুটি গেষ্ট হাউসে।  

  • 11/11

এদিকে, সেই সময়ের প্রাক্তনী স্বাগতা ভট্টাচার্য বলেন, "ছাত্রছাত্রীরা খুব উৎসুক ছিল লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কথা বলার জন্য। মঞ্চ থেকে যখন উনি নামলেন, আমরা সবাই ওঁকে ছেঁকে ধরে ছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে ছবি তুললেন। পরে জানালেন, তোমার খুব ভাগ্যবান গুরুদেবের বিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পেয়েছ।" রবীন্দ্রসঙ্গীত তাঁর খুব প্রিয় সে কথাও উল্লেখ করেন।

Advertisement
Advertisement