Durga Puja 2021: অতিমারীর (Pandemic) জেরে ছন্দপতন ঘটেছে বিনোদন জগতেও। অগত্যা ডিজিটাল (Digital) মাধ্যমের দিকে ঝুঁকেছেন সকলে। গত প্রায় দেড় বছর সময়কালে এই ডিজিটাল মাধ্যমের গুরুত্ব কতটা বেড়েছে তা আজ আর বলতে বাকি রাখে না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, একেবারে নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। এদিকে শুরু হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja)।
আট থেকে আশি সকলেই উৎসবের আমেজে (Festive Mood) গা ভাসিয়েছেন। আর এই পুজোয় সব বয়সীদের বিনোদনের জন্য 'উরিবাবা' (Uribaba) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (Digital Platform) নিয়ে এসেছে 'ইয়ো দেবী' (Yo Debi)। নাচ, গান, হুল্লোড়ে জমজমাট এই 'ডিজিটাল মিউজিক্যাল যাত্রা' (Digital Musical Cineplay), মূলত সঙ্গীত শিল্পী তথা অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদারের (Silajit Majumder) মস্তিষ্ক প্রসূত।
মূল ভাবনা ছাড়াও 'ইয়ো দেবী'-র সঙ্গীত পরিচালনা ও গীতিকারের দায়িত্ব সামলেছেন শিলাজিৎ নিজেই। মিউজিক্যাল যাত্রাটির পরিচালনা করেছেন অভ্রজিৎ সেন। চিত্রনাট্য ও সংলাপ মেঘাতিথি বন্দোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: টলি সুপারস্টারদের টক্কর পুজোয়! ইন্ডাস্ট্রির লাভ না ক্ষতি? জানালেন দেব, জিৎ, অঙ্কুশ
এই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সঙ্গীত ও অভিনয়ে একদল কচিকাঁচাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থাপনা। বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন টেলিভিশনের পরিচিত শিশু শিল্পী উদিতা, লাড্ডু, কৃতিকা ও শায়েরী। দর্শকরা 'ইয়ো দেবী' দেখতে পারবেন 'উরিবাবা' -র ইউটিউব চ্যানেলে।
বাংলা বিনোদনের এই নতুন প্ল্যাটফর্ম 'উরিবাবা' মূলত সৌরভ চক্রবর্তী ও অমিত বসুর মস্তিষ্ক প্রসূত। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বিজ্ঞাপন জগতের নরেশ ক্ষেত্রপাল ও সঞ্জীব ধিরানি।
আরও পড়ুন: পাভেল-এনার নতুন ছবিতে প্রসেনজিৎ, ঋদ্ধি! সুসম্পন্ন 'ডাক্তার কাকু' -র শুভ মহরৎ
এর আগে আজতক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানান, "গত বছর যখন অতিমারীর জন্য আমরা ঘরবন্দী হয়ে গেলাম, তখন থেকেই এই ভাবনার সুত্রপাত। আশেপাশে কত মানুষকে দেখছিলাম তাঁরা ভাল কাজ করতে চাইছেন, আমাদের কাছে কত রকম কাজের ধারণা আসতে শুরু করল। কিন্তু একটা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিলাম তখন। এরপরই আমি, অমিত দা, ঈশিতা ভাবতে শুরু করলাম, এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যদি করা যায়, যেখানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনটেন্টগুলোকে একটা জায়গা দেওয়া যাবে। এভাবে আসতে আসতে ধাপে ধাপে কাজ এগোল। লঞ্চ করার পর খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। আমরা চাইছি এখানে এরকম কনটেন্ট থাকুক, যাতে বাঙালি মনে করেন 'উরিবাবা' তাঁদের নিজস্ব একটা স্টেশন।"