Varsha Priyadarshini Anubhav Mohanty Divorce Case: ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন ওড়িয়া অভিনেত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী। স্বামী অনুভব মোহান্তির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধ চলছে বর্ষার। অনুভব বিজেডি সাংসদ। দুজনের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে এসেছে। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ এখন সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনাম।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছেন অনুভব মোহান্তি। তাঁর অভিযোগ, গত ৮ বছর ধরে বর্ষার সঙ্গে তাঁর কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই। এর আগে অনুভব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বর্ষা সম্পর্কে চমকপ্রদ প্রকাশ করেছিলেন।
ভিডিওতে অনুভব তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের গোপন কথা প্রকাশ করেছিলেন। অনুভব বলেছিলেন, বিয়ের আট বছর হয়ে গেল। কিন্তু স্ত্রী তাঁকে শারীরিক সম্পর্ক করতে দেয়নি। অনুভব জানান, তিনি মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাহলে তাঁদের আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?
এটাই অনুভব ও বর্ষার বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারণ। স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন অনুভব। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে আদালতে। ২০১৪ সালে বর্ষা এবং অনুভবের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়।
ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এর পর ২০১৬ সালে অনুভব বর্ষার বিরুদ্ধে আবেদন করেন। যাতে অভিযোগ করা হয়, দুই বছর হয়ে গেল, কিন্তু প্রিয়দর্শিনী শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দিচ্ছেন না। এর পর ২০২০ সালে, অনুভব বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের GDP-র থেকে বেশি সম্পদ রয়েছে এলআইসি-র, আসছে IPO
আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে
আরও পড়ুন: প্রথম মহাকাশযাত্রায় নিরাপদ Jeff Bezos? অটোমেটিক লঞ্চে প্রশ্ন!
এই ক্ষেত্রে অন্য এক ব্যাপার রয়েছে। যেখানে বর্ষা স্বামী অভিনব মোহান্তির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন। বর্ষা আরও বলেন যে অনুভবের মদের নেশা আছে। তার অনেক অ্য়াফেয়ার আছে।
বর্ষা একজন অভিনেত্রী। তিনি ওড়িয়া এবং বাংলা ছবিতে কাজ করেন। বর্ষা তাঁর সামাজিক কাজের জন্যও বিখ্যাত। বর্ষা শিশুদের শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে।
বর্ষা ২০০১ সাল থেকে চলচ্চিত্রে জগতের সঙ্গে যুক্ত। বাজি সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি গোলমাল, লাভ স্টোরি, সবাতা মা, জোর, প্রেম রোগী কুইন, নিমকির মতো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বর্ষা ও অনুভবের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে। এ মামলার সত্যতা কী, কে সঠিক, তা জানা না-গেলেও মানুষ নিশ্চয়ই এক গসিপ পেয়েছেন।