হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত পরিচিত মুখ অভিনেতা সিদ্ধান্ত বীর সূর্যবংশী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬। জিম করতে করতে হার্টঅ্যাটাক হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।
'কুসুম' নামে একটি ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন সিদ্ধান্ত। তার পর একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’, ‘কৃষ্ণ অর্জুন’, ‘ক্যায়া দিল মেঁ হ্যায়’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক।
তাঁর শেষ ধারাবাহিক 'জিদ্দি দিল মানে না' ২০২২ সালে সম্প্রচারিত হয়েছিল। অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত মুখ ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে অভিনয় করছেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া টেলি জগতে।
কয়েক বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল সিদ্ধান্তের প্রথম বিয়ে। তাঁর প্রথম স্ত্রী ইরা। ২০০০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নাম দিজা। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কাজ করেন ইরা।
১৫ বছর ধরে ইরার সঙ্গে সংসারে চিড় ধরে ২০১৫ সালে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের নেপথ্যে সিদ্ধান্তের বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল বলে খবর। সহ-অভিনেত্রী প্রিয়া ভাতিজার সঙ্গে প্রেম করেছিলেন তিনি। সে কারণেই ভেঙেছিল তাঁর সংসার।
২০১৫ সালে ইরার সঙ্গে সিদ্ধান্তের বিচ্ছেদের দু’বছরের মাথায় ফের ছাদনতলায় বসেছিলেন অভিনেতা। পাত্রী সুপারমডেল আলেশিয়া রাউত। ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হয়।
বিয়ের আগে আলেশিয়া ‘সিঙ্গল মাদার’ ছিলেন। তাঁর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। নাম মার্ক। আলেশিয়ার জন্ম মস্কোয়। বাবা ভারতীয়। মা রুশ নাগরিক।
অভিনেত্রী যশবীর কউরের মাধ্যমে আলেশিয়ার সঙ্গে সিদ্ধান্তের আলাপ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন,'আমরা দু’জনেই সংসার করতে চেয়েছিলাম। ওঁকে দেখেই ভাল লেগেছিল।'
তাঁর অভিনীত শেষ দু’টি ধারাবাহিক ছিল ‘কৌন রিস্তোঁ মেঁ কাট্টি বাট্টি’, ‘জিদ্দি দিল মানে না’। নিজেকে ফিট রাখতে পছন্দ করতেন সিদ্ধান্ত।
সিদ্ধান্তের আসল নাম আনন্দ সূর্যবংশী। তবে নিজের নাম বদলে রেখেছিলেন সিদ্ধান্ত সূর্যবংশী।