বহুমুখী অভিনেতা হিসাবে সকলের মন জয় করার পর, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে (OTT Platform) পরিচালক হিসাবে ফুল মার্কস পেয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। ২০২১ সালে বিনোদন জগতের গুরুত্বপূর্ণ 'ঘটনা'গুলির মধ্যে একটি হল 'মন্দার' (Mandaar)। শেক্সপিয়ারের সর্বকালের সেরা ট্র্যাজেডিগুলির (Tragedy) মধ্যে একটি, 'ম্যাকবেথ' (Macbeth)। আর সেটাই নিজের পরিচালনায় হাতেখড়ির বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। ওয়েব সিরিজের পর, এবার বড় পর্দার (Feature Film) পালা।
এসফিএফ (SVF)-এর ব্যানারে আসছে তাঁর ডেবিউ ফিচার ফিল্ম (Anirban Bhattacharya's Debut Feature Film) 'বল্লভপুরের রূপকথা' (Ballavpurer Roopkotha)। হরর-কমেডি জঁনারের (Horror -Comedy Genre) এই ছবিটি বাদল সরকারের (Badal Sarkar) জনপ্রিয় নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ (Ballavpurer Rupkotha) অবলম্বনে তৈরি হবে।
মূল চরিত্রে কারা থাকবেন তা এখনও সামনে না আসলেও, 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র ক্ষেত্রে বেছে বেছে কলাকুশলী নির্বাচন করছেন পরিচালক অনির্বাণ। এই ছবিটি নির্মাণে একই বুদ্ধিমত্তা এবং সূক্ষ্মতার সঙ্গে চলছে সমস্ত পরিকল্পনা। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করবেন শুভদীপ গুহ ও দেবরাজ ভট্টাচার্য। গল্প লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পেশাদার সহযোগী- প্রতীক দত্ত। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলাবেন সৌমিক হালদার।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে আবীর- ঝিনুককে নিয়ে, 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'-র সন্ধানে সোনা দা...
বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরকে কেন্দ্র করেই এই ছবির গল্প। বল্লভপুরের প্রায় ভেঙ্গে পড়া রাজবাড়িতে বাস কেবল দু'জনের। রায় রাজবংশের শেষ বংশধর - ভূপতি রায় এবং তাঁর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মনোহর। যদিও ‘রাজবংশ’ প্রায় নেই বললেই চলে, কারণ এই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোনও ধন-সম্পদের চিহ্ন মাত্র নেই। ফলস্বরূপ, বাড়ির দুই সদস্যই ভারী ঋণের বোঝায় জড়জড়িত। হঠাৎই একদিন সম্পত্তি বিক্রি করার প্রস্তাব পাওয়ায়, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির আশা খুঁজে পায় তাঁরা। ভূপতি রায়, মনোহর, ক্রেতা এবং এক ভূতের নানা কার্যকলাপে সেই রাতে বল্লভপুর রাজবাড়িতে চরম মজার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর এভাবেই নানা মজার ও ভুতুড়ে ঘটনায় এগোতে থাকে ছবির গল্প...
'বল্লভপুরের রূপকথা' নিয়ে উচ্ছ্বসিত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই হরর কমেডি/ স্যাটায়ার খুব পছন্দ করি। বলাই বাহুল্য বছরের পর বছর ধরে, আমরা বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে কিছু দারুণ হরর- কমেডি পেয়েছি। আমি বলব না যে, এই বিশেষ জঁনারটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতারা এর আগে ব্যবহার করেননি। কারণ এমন বাংলা ছবি রয়েছে যা হরর এবং কমেডি নিয়ে সমান্তরালভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে। তবে সংখ্যাটা বেশ কম।"
আরও পড়ুন: ডিস্ট্রিবিউটর, হল মালিকদের হাত জোড় করে বলছি, বাংলা ছবিকে শো দিন...: দেব
পরিচালক -অভিনেতা আরও যোগ করলেন, "বল্লভপুরের রূপকথা হালকা মেজাজের ছবি হলেও এতে থাকবে নানা চমক। আমার শেষ কাজটি মানুষের বিবেকের অন্ধকার দিকটি অন্বেষণ করেছে। তবে এবার আমি যতটা সম্ভব আনন্দদায়ক এবং উজ্জ্বল রাখতে চাই। আমার এবং প্রতীকের উদ্দেশ্য নয় যে, গল্পে একাধিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা যা, ছবিটি দেখার সময় দর্শকদের সমস্যায় পড়তে হয়। এসভিএফ-এর সঙ্গে পরিচালক হিসাবে আমার প্রথম ফিচার ফিল্ম শুরু করছি। আমি আনন্দিত যে, তারা আমায় এমন একটি ছবি তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা আমি সব সময় করতে চেয়েছিলাম।"