জঙ্গলের মধ্যে সাধারণত তেমন কারোর যাতায়াত থাকে না। সেই সুযোগ নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে রাতের বেলায় রমরমিয়ে চলত দেহ ব্যবসার আসর। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ এই দেহব্যবসার আসরের চক্র ফাঁস করেছে। (সব ছবি-প্রতীকী)
কয়েকদিন আগে দিল্লি মহিলা কমিশনে ফোন আসে অজানা একটি নম্বর থেকে। সেখানে এক নাবালিকা দাবি করে, তাকে জোর করে দেহব্যাবসায় নামানো হয়েছে। শুধু ওই নাবালিকা এক নয়, তার সঙ্গে আরও দুই নাবালিকাকে এই কাজে নামানো হয়েছে।
এর পরে দিল্লি মহিলা কমিশনকে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই ৩ নাবালিকাকে উদ্ধার করে। নাবালিকারা জানায়, তারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। সম্প্রতি কাজের সন্ধান করছিল তারা।
তখন হালিমা বলে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়। ওই মহিলা তাদের কাজ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তখনই বেড়াতে নিয়ে যাবে বলে একটি জঙ্গলে রাতের বেলায় ওই নাবালিকাদের নিয়ে আসে হালিমা।
অভিযোগ, সেখানে আরও কয়েকন যুবক অপেক্ষা করছিল। এরপরেই ওই নাবালিকাদের জোর করে যুবকদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে হালিাম। নাবালিকারা রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতাদের দাবি, তারপর থেকে এই জঙ্গলেই জোর করে পতিতাবৃত্তিতে ফেলে দেওয়া হয় তাদের। ভয়ে কোনওভাবেই তারা মুখ খুলতে পারেনি।
শেষ একদিন লুকিয়ে স্থানীয় একটি বুথ থেকে ফোন করে মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে গোটা ঘটনাটি বলে। তাদের দাবি, আরও অনেক নাবালিকাকে এই কাজে নিয়ে এসেছে হালিমা।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক হালিমা নামে ওই মহিলা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলা আদতে একজন গাঁজা ব্যবসায়ী। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের আপাতত হোমে রাখা হয়েছে।