১২ বছরে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ উঠল ঠাকুরমা-ঠাকুরদা ও কাকার বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হতভম্ব গোটা এলাকা।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাটি খুঁড়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি প্রশাসনের।
ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কোচপুকুর এলাকায় চাঞ্চল্য।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতাক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে মৃত কিশোরীর নাম ডলি খাতুন (১২)। অভিযুক্তর কাকার নাম তারিকুল ইসলাম, ঠাকুরদা মেহতাব আলি, ঠাকুমা উজলেফা বিবি।
মৃতের মা তাজকিরা বিবি জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখে মা বাবা ও ছোট মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় জমিতে কাজ করতে যায়।
এরপর বেশ কিছুক্ষন পর তাদের কাছে খবর যায় তাদের বড় মেয়ে ডলি আত্মহতা করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে তারা ছুটে এসে দেখে তাদের মেয়েকে মাটিতে শুয়ে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর তাদের মেয়েকে কবর দিয়ে দেওয়া হয়। আরও জানা যায় মেয়েটির বাবা তাদের কিছুটা জমি লিখে দেয়।
সেই নিয়ে মূলত বিবাদ শুরু হয়। এরপর ১৬ তারিখ কাকার সঙ্গে তাজকিরা বিবি ও তার কাকার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়।
সেই সময় কাকু তারিকুল ইসলাম তাজকিরাকে হুমকি দেয়, বড় মেয়েকে যেমন খুন করেছে তেমনি তাদের ছোট মেয়েকে খুন করা হবে।
ঘটনা জানতে পেয়ে ওই দিন রাত্রিবেলা মৃতের মা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কাকা তারিকুল ইসলাম ও তার ঠাকুরদা ঠাকুরমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এরপর রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডেক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন,খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে খুনের কারন নিশ্চিত চরতে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।