ঘরের শৌচাগার থেকে শুরু করে বেডরুম। সব জায়গায় লাগানো গোপন ক্যামেরা। অথচ সেটা জানেন না সেই বাড়িতে থাকা মহিলা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক এক মহিলার বাড়িতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলার বাড়িতে একাধিক গোপন ক্যামেরা লাগানো ছিল।
মহারাষ্ট্রের ভারতীয় বিদ্যাপীঠ হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসকতা করতেন। হাসপাতালের বরাদ্দ করা ঘরে তিনি থাকতেন। একদিন রাতে কাজ থেকে ফিরে তিনি দেখেন ঘরের লাইট জ্বলছে না। এরপরেই ইলেকট্রিশিয়ানকে খবর দেন তিনি।
পরে বিদ্যুতের ওই কর্মী আসতেই অবাক হন ওই মহিলা। ওই কর্মী জানান, মহিলার ঘরে বেশ কিছু ক্যামেরা লাগানো আছে। পরে খুঁজে দেখা যায়, বাথরুমেও লাগানো রয়েছে ক্যামেরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে ক্যামেরাগুলি পরীক্ষা করা শুরু করে। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। জানা যায়, তার নাম সুজিত জগতাপ। তিনিও ওই হাসপাতালে একজন চিকিৎসক।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জেরা শুরু করে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তদন্তকারীদের চাপের মুখে নিজের দোষের কথা স্বীকার করে নেয় সে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা যখন বাড়িতে ছিলেন না। তখনই এই কাণ্ড ঘটায় সুজিত। মহিলার ঘরের তালার একটি নকল চাবি তৈরি করে, পরে ঘরে ঢুকে একাধিক ক্যামেরা বসিয়ে চলে আসে।
ইতিমধ্যে সুজিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হয়েছে। সেখানে বিচারক তাকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।