এক নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় শাস্তি ঘোষণা করল আদালত। সেটি ১১ বছরের পুরনো মামলা। বুধবার হুগলির চুঁচুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত এই সাজা ঘোষণা করল।
ওই ঘটনায় একবার জামিনও পেয়েছিল সে। তবে পরে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তির নাম সুজিত হালদার। বাড়ি বীরভূমে।
তবে কাজের সূত্রে হুগলির গুড়াপ এলাকায় তার আনাগোনা ছিল। আর তখনই ওই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছিল।
পুলিস এবং আদালত সূত্রে খবর, ২০১০ সালে নাবালিকাকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। ঘটনাটি হুগলির গুড়াপ থানা এলাকার চেরা গ্রামের।
সেটা ২০১০ সালের ৬ অক্টোবরের ঘটনা। গুড়াপের চেরা গ্রামের এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে পুলিশ সুজিত হালদার নামে একজনকে গ্রেফতার করে। সুজিত আদতে বীরভূমের বাসিন্দা। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আর সেই সূত্রে সুজিত সে সময় গুড়াপে আনাগোনা ছিল।
ওই ঘটনায় গ্রেফতারের পর একবার সুজিতের জামিনও হয়। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার পর সুজিত অন্যত্র গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
পরে এই মামলাতেই পুলিশ ফের সুজিতকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে চুঁচুড়া আদালতে অপহরণ ও পকসো আইনে সুজিতের বিচার চলতে থাকে।
এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবি জয়ন্ত সাহা বলেন, ৩৬৩ ও ৩৭৬ ধারায় সুজিতকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বুধবার চুঁচুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাজি আবুল হাশেম সুজিতের সাজা ঘোষণা করেছেন।
কোন কোন ধারায় তাকে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে জনান তিনি। ৩৭৬ ধারায় ৭ বছরের জেল, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের জেল এবং ৩৬৩ ধারায় ৪ বছরের জেল, ১০টাকার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১বছরের জেলের নির্দেশ দেন।
সব ক'টি সাজাই একসঙ্গে চলবে বলে জানান আইনজীবী জয়ন্ত সাহা।