Malda: রুমের গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে কলকাতার এক দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তোলার অভিযোগ উঠল। মালদার এক নামজাদা হোটেলে। এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ওই হোটেল মালিকের ছেলেকে প্রথমে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শহরের নামজাদা হোটেল রুমের মধ্যে গোপন ক্যামেরা মহিলার ছবি তোলার ঘটনাটি সামনে আসতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে হোটেলের দু'জনকে । ঘটনাটি ঘটে রাত্রিবেলা মালদা শহরের কৃষ্ণকালীতলা সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে বিয়ের আসর বসেছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিল কলকাতার এক ব্যবসায়ী দম্পতি।
রাতে বিয়ের পর্ব শেষ হওয়ার পর ওই হোটেল রুমে কলকাতার ওই দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
ঘটনাচক্রে কলকাতার ওই ব্যবসায়ী বাথরুম ঘরের মধ্যে গোপন ক্যামেরা থাকার বিষয়টি জেনে ফেলেন। এরপর শুরু হয়ে যায় হোটেলে গোলমাল।
রাতে খবর পেয়ে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। হোটেল মালিকের ছেলে সহ তিন জনকে আটক করা হলেও পরে হোটেল মালিকের ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কলকাতার ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা ওই হোটেলে উঠেছিলাম। যখন আমি বিয়ের পর্ব শেষ করে ঘরে ঢুকি তখন বিষয়টি জানতে পারেনি। বাথরুমে ব্যবহার করার সময় আমিও বুঝতে পারিনি।
তাঁর দাবি, পরে আমার স্বামী বাথরুম এবং ঘরে গোপন ক্যামেরা থাকার বিষয়টি জানতে পারে। এরপরই আমরা আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে সরাসরি পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এই ঘটনায় সাগর কুমার এবং আরও একজনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পারি।
তাঁর অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষের মদত রয়েছে বলে এভাবে মহিলাদের গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলেও বিভিন্ন ভাবে জানতে পেরেছি। সে কথাও আমি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। বিষয়টি ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে জানিয়েছি। এই অভিযোগ কলকাতায় জানানো হবে। যারা এই ঘটনাটিকে যুক্ত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কলকাতার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি।
এদিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মালদা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে যে অভিযোগ কলকাতার ওই দম্পতি করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরা পাত্রপক্ষ ছিল। এখানে বিয়ের জন্য এসেছিলেন। বিয়ের পর হোটেলের ডাইনিং প্লেসে নাচানাচি চলছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, সেই সময় কেউ একজন মোবাইলে নাচ গানের ছবি তুলছিল। আর তাকে ঘিরেই দু'পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। এখানে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই। আর যে গোপন ক্যামেরা হোটেলের রুমে রাখার কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যারা বিয়ে বাড়ির ছবি তুলছিল, তারা বাইরে থেকে হোটেল রুম নিয়ে ভাড়া ছিল। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে, দাবি তাঁর।