করোনার জেরে কোথাও কোথাও চলছে লকডাউন। আর লডকাউনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও জায়গা থেকে। পঞ্জাব (Punjub) ও মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এমনই দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব পুলিশের এক এসএইচও লাথি মেরে সবজি বিক্রেতার ঝুড়ি ফেলে দিচ্ছেন। অন্যদিকে অপর ভিডিওতে মধ্যপ্রদেশের এক সিএমও-র ওপরে হামলা চালিয়ে তাঁকে পরপর চড় মারতে দেখা যাচ্ছে ফল বিক্রেতাকে। দুটি ঘটনাতেই নেওয়া হয়েছে পড়া পদক্ষেপ। (তথ্য-সুকেত গুপ্তা)
পঞ্জাবের ফাগুওয়াড়ার পুলিশের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সিটি থানার ইনচার্জ একটি সবজির দোকানে লঙ্কা ভর্তি ঝুড়ি লাথি মেরে ফেলে দিচ্ছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হয় এসএইচওকে।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই পঞ্জাবের ডিজিপি ট্যুইট করে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এসএসপি কাপুরথলা কানওয়ারদীপ কৌর ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। একইসঙ্গে ওই বিক্রেতা থানায় ডেকে তাঁর বয়ান নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওই বিক্রেতার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুলিশের বেতন থেকেই মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনায় যে পুলিশ কর্তাকে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম নবদীপ সিং। মাঝেমধ্যেই আইনের নামে মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণে অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে সবজি বিক্রেতার ঝুড়িতে লাথি মারার অভিযোগ উঠলো, যা ইতিমধ্যেই বেশকিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত পঞ্জাবে কোভিড বিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেখানেই কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
ডিজিপি ট্যুইট করে জানান, কোনও পুলিশকর্মীরই এই ধরনের ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না। যদি এই ঘটনার আরও কাউকে দোষী পাওয়া যায় তবে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের রাইসেনেরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পরিদর্শনে বেরনো এক সিএমও-র ওপরে হামলা করতে দেখা যাচ্ছে এক ফল বিক্রেতাকে। গালিগালাজের পাশাপাশি চড়ও মারা হচ্ছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে প্রশাসনিক নির্দেশ লাগু করার জন্য নির্দিষ্ট দল তৈরি করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন নোডাল অফিসারও। মাস্ক ছাড়া ওই ফল বিক্রেতাকে দেখতে পেয়ে তাঁকে দাঁড় করান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাতেই রেগে গিয়ে হামলা চালান ওই ফল বিক্রেতা।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে বেশকয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ফল বিক্রেতাকে।
জানা গিয়েছে সিএমও রাজেন্দ্র শর্মা নিজের দলকে নিয়ে পরিদর্শনে বের হন। তিনি দেখেন একজন ঠেলা গাড়িতে ফল বিক্রি করছেন এবং অনেকে কিনছেন। সিএমওকে দেখে ক্রেতারা পালিয়ে যান। এরপর ওই বিক্রেতাকে ডেকে তিনি বলেন এটা নিয়ম বিরুদ্ধ।
ঠেলা গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে আইনি পদক্ষেপ শুরু হয়। সেই সময় কিছু ফল নিচে পড়ে যায় এবং তাতেই রেগে যান ওই বিক্রেতা। এরপর সিএমও এবং তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে মারমারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফল বিক্রেতা সেলিমের মারধরে সিএমও সহ মোট ৩ জন আহত হন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।