গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হুগলির চন্দননগরের (Chandannagar) গড়ের ধার হরিদ্রাডাঙ্গা এলাকা। মৃতার নাম পিঙ্কি পাল। পিঙ্কির বাপের বাড়ির এলাকার লোকজনের মারধরে আহত হয়ে হাসপাতালে মৃতার ভর্তি স্বামী ও শাশুড়ি। যদিও ওই গৃহবধূর বাপেরবাড়ির লোকেদের দাবি, মৃতার স্বামীই প্রথম হামলা চালায় তাঁদের ওপরে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৬ বছর আগে চুঁচুড়া থানা এলাকার ময়নাডাঙ্গা, দক্ষিণায়নের বাসিন্দা পেশায় সরকারি কর্মী তপন সরকারের মেয়ে পিঙ্কির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গার বাসিন্দা দেবাশিস পালের। অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক দেওয়ার পরেও বারবার অতিরিক্ত টাকার দাবিতে পিঙ্কির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে দেবাশিষ সহ তাঁর পরিবারের লোকজন। এমনকী পিঙ্কি চারবার সন্তানসম্ভবা হলেও বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় সেই সন্তানদের পৃথিবীর আলো দেখতে দেয়নি দেবাশিস।
অবশেষে দেবাশিস ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বছর দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান পিঙ্কি। অত্যাচারের কারণে পিঙ্কির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতর সৃষ্টি হয়। সেইসব ক্ষতর চিকিৎসাও শুরু হয়।
সম্প্রতি পিঙ্কির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর শুক্রবার ভোর রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে সকালে পিঙ্কির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ময়নাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। এরপর তাঁরাই দেবাশিষের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন। দেবাশিষ ও তাঁর মা শিপ্রা পালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর চালান হয় দেবাশিষের বাড়ি ও দোকানঘরে। পরে দেবাশিষ ও তাঁর মাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেবাশিষের ও তাঁর পরিবারের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পিঙ্কির পরিবারের লোকজন।
তবে দেবাশিষকে মারধর প্রসঙ্গে পিঙ্কির বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি মেয়ের মৃত্যু সংবাদ জামাইকে জানাতে গেলে সে প্রথমে হামলা চালায়। এক্ষেত্রে তাঁরা শুধুমাত্র হামলার জবাব দিয়েছেন বলেই দাবি পিঙ্কির বাপের বাড়ির লোকেদের।