স্ত্রী ছেড়ে গিয়েছিলেন বহুদিন আগেই। দীর্ঘদিন পর ভাইঝির বিয়েতে স্ত্রীকে হঠাৎ দেখলেন স্বামী। মুহূর্তে মাথায় রক্ত উঠে গেল মাথায়। আর সামলাতে পারলেন না তিনি। মুহূর্তের আক্রোশে খুন করে ফেললেন স্ত্রীকে। এর পর অবশ্য ধীরে সুস্থে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে খুন করে ফেললেন। এরপর নিজেই থানায় গিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। অবশ্য খুনের জন্য কোনওরকম পরিতাপ নেই। তিনি জানালেন স্ত্রীর ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলে।
যার কারণে তাকে অনেক অসম্মান এবং অপমান সহ্য করতে হয়েছে। মানুষের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছিলাম না। দীর্ঘদিন এই কারণে তার স্ত্রীর প্রতি চাপ আক্রোশ ছিল।
বিয়েতে গিয়ে হঠাৎ স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে শিলপাটা পিটিয়ে মেরে ফেলেন তিনি। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কানপুরের শিবলি থানা এলাকার ঘটনা। এখানকার রাস্তপুর এলাকায় রফিক বলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ মদের ঘোরের কারণে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। যার কারণে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন আগে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়াঝাঁটি হয় এবং তাঁরা আলাদা হয়ে যায় বড় ছেলে নাফিসকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী।
স্ত্রীর ঘর থেকে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনি। কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে, এই সন্দেহ থেকে তিনি ভিতরে ভিতরে আক্রোশ পালন করে আসছিলেন। ভাইঝির বিয়ে ছিল কদিন আগে। এই বিয়েতে যোগ দিতে রফিকের স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে ছেলেকে নিয়ে স্বাস্ত্পুর গ্রামে এসেছিলেন।
স্ত্রীকে দেখে ফের ঝগড়া শুরু হয়ে যায় তাঁদের মধ্যে। এরই মধ্যে আড়ালে পেয়ে এরপর তাঁকে শিলপাটা দিয়ে মারতে শুরু করে রফিক। কথা শুনে পুলিশ অবাক। রফিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।