Advertisement

লাইফস্টাইল

Obesity National Guideline: মোটা ভারতীয়দের রোগা করার তোড়জোড় শুরু, এই প্রথম দেশীয় গাইডলাইন আনছে কেন্দ্র

মিলন শর্মা
  • নয়াদিল্লি,
  • 26 Aug 2025,
  • Updated 10:30 AM IST
ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে স্থূলতা
  • 1/11

অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। আক্ষরিক অর্থেই জনস্বাস্থ্যে এটি একটি বড় বিপদ। কথা হচ্ছে, স্থূলতা বা মোটা হওয়া। মেদবহুল স্বাস্থ্যও যে একপ্রকার অপুষ্টি, আর এই অপুষ্টিতে বিশ্বের একটি বড় অংশ আক্রান্ত। ভারতও বাদ নেই। ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে স্থূলতা। শিশু বয়স থেকেই মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা চরমে। যার নির্যাস, অল্প বয়সেই নানা রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। 
 

  • 2/11

স্থূলতার এই লাগামহীন বৃদ্ধিতে রাশ টানতে প্রথমবার জাতীয় ওবেসিটি গাইডলাইন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। India Today-কে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ICMR-এর দীর্ঘ স্টাডির পরে দেখা গিয়েছে, মোটা হওয়া বা মেদবহুলতায় লাগাম টানতে অবিলম্বে গাইডলাইন করা উচিত কেন্দ্রের। সেই মতো তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। 
 

  • 3/11

সম্প্রতি ICMR-এর ডিরেক্টর জেনারেল, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা, পুষ্টিবিদ, ব্যারিয়াট্রিক সার্জেন, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। 
 

  • 4/11

অতীতে ভারতের স্থূলতা নিয়ে কোনও ন্যাশনাল গাইডলাইন কখনও ছিল না। ভারতের ডাক্তার বা চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা সাধারণত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র গাইডলাইন মেনে চলারই পরামর্শ দেন। এবার দেশের নিজস্ব গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে, যা ভারতীয় খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলকে মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে। 
 

  • 5/11

সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ক্রমবর্ধমান স্থূলতা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মোদী বলেন, 'দেশের প্রতিটি পরিবার যদি ভোজ্যতেল খাওয়া ১০ শতাংশ করে কমিয়ে দেন, তাহলে জাতীয় স্বাস্থ্যে লাভবান হবেন।'
 

  • 6/11

২০১৮ সালে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ে একটি গাইডলাইন জারি করেছিল ICMR। ওই গাইডলাইনে স্থূলতাও একটি অংশ ছিল। তাতে বলা হয়েছে, 'স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রথমে জীবনযাপনে পরিবর্তনের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত। প্রয়োজনে সতর্কভাবে ওষুধকে সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মারাত্মক স্থূলতার ক্ষেত্রে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি একটি চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে।'
 

  • 7/11

তবে নয়া গাইডলাইনে শুধু স্থূলতার চিকিৎসা নয়, বরং প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিত্‍সা, প্রতিরোধ, স্ক্রিনিং ও ডায়াগনসিসের ওপরও জোর দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। স্থূলতা এবং ফিট ও স্লিম থাকার প্রতি মানুষের আগ্রহ এতটাই বেড়েছে , এখন এমন ওজন কমানোর ওষুধ বাজারে এসেছে যা অন্ত্রের হরমোন যেমন GLP1 এবং GIP রিসেপ্টরের কার্যকারিতা নকল করে। 

  • 8/11

এগুলি খিদে কমায় এবং হজম স্লো করে, ফলে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। বর্তমানে এই ওষুধগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারতে এগুলি শুধুমাত্র ডায়াবেটিস আক্রান্তরাই নয়, বরং যারা শুধুমাত্র ব্যায়াম ও ডায়েটের বাইরে অন্য উপায়ে শরীর ছিপছিপে করতে চান, তারাও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছেন। গাইডলাইনে এই ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সেগুলি গ্রহণ করার বিষয়েও উল্লেখ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 

  • 9/11

ভারতীয়দের ডায়েট নিয়ে একটি গাইডলাইন ২০২৪ সালেই প্রকাশ করেছে The National Institute of Nutrition-ICMR-NIN। তাতে শরীরে নীচের অংশের মেদ কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নুন খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ, রান্নার পদ্ধতি ও হাই-ফ্যাট ও চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে রাশ টানার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে স্থূলতার প্রাথমিক পর্যায়েই এই বিষয়গুলিতে ফোকাস করলে উপকার মিলবে বলে জানানো হয় গাইডলাইনে। 
 

  • 10/11

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে প্রতি ৪ জন ভারতীয়ের মধ্যে একজন স্থূলতার শিকার। এই সমস্যা এখন শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। গত একদশকে ৩ গুণ হারে ভারতে বেড়েছে স্থূলতা। বিশেষ করে শিশু বয়সে ৫ বছরের নীচের শিশুদের স্থূলতা ২.১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩.৪ শতাংশ। 
 

  • 11/11

বিএমআই নিরিখে মাত্র ২৩ শতাংশ মহিলাই স্থূলতার সীমারেখা অতিক্রম করেন। অর্থাৎ, কিছু মহিলার বিএমআই স্বাভাবিক থাকলেও তাঁদের পেটের স্থূলতা বা ভুঁড়ি রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের কেরল (৬৫.৪%) ও তামিলনাড়ু (৫৭.৯%), আর উত্তর ভারতের পঞ্জাব (৬২.৫%) ও দিল্লি (৫৯%) রাজ্যে ভুঁড়ি হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড (২৩.৯%) ও মধ্যপ্রদেশে (২৪.৯%) এই হার তুলনামূলকভাবে কম।

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement