Advertisement

দেশ

Indian Army:শত্রুর থেকেও ভয়ঙ্কর! এই ৫ জায়গা ভারতীয় সেনার সবচেয়ে 'বিপজ্জনক' পোস্টিং

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 May 2022,
  • Updated 9:04 PM IST
  • 1/9

ভয়ানক গরম আছে। তুষার পড়ছে, ঝড় হোক বা  বৃষ্টি কিম্বা শত্রুর বুলেট। ভারতীয় সেনাবাহিনীই আপনাকে দেশের ভিতরে নিরাপদে রেখেছে। সে পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনই হোক বা উত্তপ্ত থর মরুভূমি। চিন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের এলাকাই হোক বা ছত্তিশগড়ের মশা আর নকশালপন্থী দান্তেওয়াড়া। সর্বত্র আমাদের জওয়ানরা নিজেদের চিন্তা না করেই দায়িত্ব পালন করছেন। এই হল ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক পাঁচটি জায়গা যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরা কোনো হট্টগোল না করেই তেরঙ্গা দোলায়। (ছবি: PTI)

  • 2/9

সিয়াচেন (Siachen): বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র  (Word's Highest Battlefield)। তাপমাত্রা মাইনাস ৬০  ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতই কম যে শিরায় প্রবাহিত রক্ত ​​জমে যায়। অক্সিজেনের মাত্রা মাত্র ১০ শতাংশ। নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে ও নেওয়ার সময় ভাবতে হবে শ্বাস আসবে কি আসবে না। সিয়াচেন বরাবরই বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থান। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই জায়গা আরও বেশি দামি। এই জায়গাটি এমন, যেখান থেকে ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তান ও চিন উভয়ের উপর নজর রাখে। (ছবি: India Today)

  • 3/9

সিয়াচেনে খাবার যেন  বিলাসিতা। এই ধরনের নিম্ন তাপমাত্রা, কম অক্সিজেন এবং উচ্চ উচ্চতায় সৈন্যদের স্মৃতিশক্তি হারানো, নিদ্রাহীনতা, ত্বক পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। যে জায়গায় দুই সেকেন্ডে জল  জমে যায়, কল্পনা করুন সেখানে বসবাস করা কতটা কঠিন হবে। চা বানানোও সহজ নয়। কিন্তু আমাদের জওয়ানরা পূর্ণ শক্তি, সাহস ও শৌর্য  নিয়ে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।  (ছবি: India Today)

  • 4/9

দ্রাস (Dras): দ্রাসকে ভারতের শীতলতম আবাসিক এলাকা এবং বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম এলাকা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের আক্রমণের পর কার্গিল যুদ্ধ শুরু হলে এই এলাকাটি আলোচিত হয়। এই স্থানে যুদ্ধের সময় ৫০০  জনেরও বেশি ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। এই এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সীমান্তের একটি। এখানে মোতায়েন সৈন্যদের প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা করতে হয়। দ্রাসকে লাদাখের দরজাও বলা হয়। (ছবি: রয়টার্স)

  • 5/9

দ্রাস ১০,৮০০  ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত যায়। সর্বনিম্ন মাইনাস ৪৫ পর্যন্ত। সিয়াচেনের তাপমাত্রা কম থাকলেও দ্রাসে বয়ে যাওয়া প্রবল বাতাস এই ঠান্ডাকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলেছে। এখানে ১৯৯৯  সালে টলোলিং এবং টাইগার হিল পাকিস্তানিদের কব্জায় যায়। তারপর থেকে তারা ক্রমাগত NH-1-কে টার্গেট করতে থাকে।  (ছবি: India Today)

  • 6/9

দান্তেওয়াড়া (Dantewada): ছত্তিশগড়ের এমন একটি এলাকা যেখানে তিনটি জিনিস খুবই বিপজ্জনক। জঙ্গল আর তাতে মশা আর নকশালদের বাস। এই এলাকাকে বলা হয় নকশালদের শক্ত ঘাঁটি। এটি সেই একই জায়গা যেখানে ২০১০ সালের এপ্রিলে নকশালদের হাতে ৭৬  জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছিল। নকশালরা সিআরপিএফের ৮২তম ব্যাটালিয়নকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। হামলার পর নকশালরা অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায়।  (ছবি: India Today)
 

  • 7/9

অক্টোবর ২০১৮ সালে, দূরদর্শনের ক্যামেরাপারসন অচ্যুতানন্দ সাহু এবং অন্য দুই পুলিশ সদস্য নকশাল হামলায় নিহত হন। এখানে জঙ্গলে পোস্টিং করার সময় আর্দ্রতায় ভরা  আবহাওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিপদ মশা এবং বন্য প্রাণীর থেকেও আসে। নকশালদের বুলেট আমাদের সৈন্যদের তেমন ক্ষতি নাও করতে পারে, কিন্তু মশা এবং জঙ্গলের আবহাওয়া সমস্যায় ফেলে।  (ছবি: India Today)

  • 8/9

থর মরুভূমি (Thar Desert): রাজস্থানের থর মরুভূমিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের সবচেয়ে বড় অংশ রয়েছে। এটি প্রায় ১০৪০  কিলোমিটার দীর্ঘ। এর নিরাপত্তায় প্রায় ৩ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এখানে সীমান্তের ওপার থেকে বালির ঝড়, অনুপ্রবেশ এবং মাঝে মাঝে যুদ্ধবিরতির ঘটনার মধ্যে ভয়ানক তাপমাত্রার খেলা চলছে। এখানে গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত যায়। এই গ্রীষ্মে, প্রবল বাতাস এবং বালির ঝড়ের মধ্যে সীমান্তে সৈন্যদের দায়িত্ব পালন  অত্যন্ত কঠিন। ছবি: India Today)
 

  • 9/9

অরুণাচল প্রদেশ ভারত-চিন সীমান্ত (Arunachal Pradesh India-China Border): ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের আরেকটি শক্ত ঘাঁটি। এটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থাপনার মধ্যে গণ্য করা হয় কারণ চিনা সৈন্যরা প্রায়শই এখানে ভারতীয় পোস্টে আক্রমণ করে। সংঘর্ষ হয়। এখানে তাওয়াংয়ের কাছে দুই দিকই প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করেছে। এই এলাকাটি সম্পূর্ণভাবে রাস্তা ইত্যাদি দ্বারা সংযুক্ত নয়। তাই আরও সমস্যা আছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে এখানের পরিবেশ আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, কারণ কুয়াশার কারণে সীমান্তের ওপারে চলাচল দেখা যায় না। ( (ছবি: India Today)

Advertisement
Advertisement