Jagdeep Dhankhar NDA Vice President Candidate: উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ শিবিরের প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। শনিবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এ কথা ঘোষণা করেন। এদিন বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক হয়। সেখান থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জগদীপ ধনখড় এখন বাংলার রাজ্যপাল। এর আগে তিনি ছিলেন সংসদ, মন্ত্রী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। আইনজীবী হিসেবে পরিচয় রয়েছে তাঁর।
জে পি নাড্ডা জানান, কৃষকের ছেলে জগদীপ ধনখড় এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হবেন।
তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা।
জগদীপ ধনখড়ের জন্ম রাজস্থানের ঝুনঝুনা জেলার কিথানা গ্রামে। ১৯৫১ সালের ১৮ মে। তিনি এ রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই তিনি দায়িত্ব নেন।
তিনি রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য হয়। সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো আচার্য পদে রাজ্যপালের থাকা।
তৃণমূল নেতারা বারবার অভিযোগ করেছেন, হাওড়া বিল তিনি আটকে রেখেছেন। আর সে কারণে সেখানে ভোট করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে
আরও পড়ুন: প্রথম মহাকাশযাত্রায় নিরাপদ Jeff Bezos? অটোমেটিক লঞ্চে প্রশ্ন!
আরও পড়ুন: Google Maps-এর এই ফিচার ধরিয়ে দিল ইটালির মাফিয়াকে, বিশ সাল বাদ
জগদীপ ধনখড় রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় এলএলবি কোর্সে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে পাশ করেন। ছবি সৌজন্য: লোকসভার ওয়েবসাইট
রাজস্থান বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট হিসেবে নথিভুক্ত হন ১৯৭৯ সালের ১১ নভেম্বর।
তিনি বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার আগে সিনিয়র মোস্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
১৯৯০ সালের মার্চ মাসে থেকে জগদীপ ধনকর মূলত সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। স্টিল, কয়লা, খনি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মামলা নিয়ে তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
১৯৮৭ সালে সর্বকনিষ্ঠ বয়সে রাজস্থান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, জয়পুরের নির্বাচিত সভাপতি।
১৯৮৮ সালে রাজস্থান বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য।
১৯৮৯ সালে ঝুনঝুনু সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে নবম লোকসভায় নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সালে একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান। ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
১৯৯৩-১৯৯৮ সালে আজমেঢ় জেলার কিষাণগড় নির্বাচনী এলাকা থেকে রাজস্থান বিধানসভায় নির্বাচিত হন।
লোকসভা এবং রাজস্থান বিধানসভা উভয়েই তিনি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির অংশ ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি সংসদীয় গ্রুপের ডেপুটি লিডার হিসেবে একটি প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন (তথ্যসূত্র: পশ্চিমবঙ্গ রাজভবন এবং লোকসভার ওয়েবসাইট)