Amar Jawan Jyoti: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti)-র শিখা নেভানো হচ্ছে না। তা জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ (ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল বা National War Memorial)-এর শিখার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে সরকারি সূত্র। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি এ ব্য়াপারে টুইট করেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের GDP-র থেকে বেশি সম্পদ রয়েছে এলআইসি-র, আসছে IPO
আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে
বিতর্ক দেখা দেয়
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় শহিদ সেনাদের স্মরণে অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti) শিখাটি নিভিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর প্রকাশিত হয়। তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এরপরই সরকারে তরফে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিজেপি নেতার দাবি
বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, অমর জওয়ার জ্য়োতি (Amar Jawan Jyoti) নেভানো হচ্ছে না। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ (ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল বা National War Memorial))-এর শিখার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রথম মহাকাশযাত্রায় নিরাপদ Jeff Bezos? অটোমেটিক লঞ্চে প্রশ্ন!
আরও পড়ুন: Google Maps-এর এই ফিচার ধরিয়ে দিল ইটালির মাফিয়াকে, বিশ সাল বাদ
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে
সরকারি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ (ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল বা National War Memorial))-এ শিখার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে বলে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জানানো হল।
আরও পড়ুন: R Madhavan-কে ফ্যান বললেন 'ড্যাডি', 'আঙ্কল বলেই ডাকো সোনা', জবাব তাঁর
"অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti)-র শিখা সম্পর্কে প্রচুর ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে," সূত্র জানিয়েছে। "অমর জওয়ান জ্যোতি শিখা ১৯৭১ সাল এবং অন্যান্য যুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিল। কিন্তু সেখানে তাদের কারও নাম নেই। এটা বেশ খটোমটো ব্যাপার।"
আরও জানানো হয়েছে
"ইন্ডিয়া গেটে খোদাই করা নামগুলি শুধুমাত্র কয়েকজন শহিদের, যাঁরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশদের জন্য লড়াই করেছিলেন। এবং সেটা যেন আমাদের ঔপনিবেশিক অতীতের প্রতীক," তারা আরও জানিয়েছে।
১৯৭১ সাল এবং এর আগে-পরে যুদ্ধ-সহ সমস্ত যুদ্ধের সমস্ত ভারতীয় শহিদদের নাম জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে রাখা হয়েছে। তাই, সেখানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিখা প্রজ্জ্বলিত করাই সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি। সরকারি সূত্র এমনই জানিয়েছে।
সরকার বিরোধীদের আক্রমণ করেছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের সমালোচনাকে 'বিদ্রূপাত্মক' বলে অভিহিত করেছে। সরকারী সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, "এটা পরিহাসের বিষয় যে যারা সাত দশক ধরে একটি জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ তৈরি করেনি, তারা এখন হাহাকার করছে। যখন আমাদের শহিদদের প্রতি স্থায়ী এবং উপযুক্ত শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।"