বাস্তুশাস্ত্রে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব থেকে বাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাস্তু অনুসারে, সঠিক জায়গায় জিনিসগুলি রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়। অন্যদিকে, বাড়িতে যদি বাস্তু অনুসারে জিনিসগুলি নিয়মতান্ত্রিকভাবে না রাখা হয় তবে বাস্তু ত্রুটি হতে পারে এবং আপনি বিভিন্ন ধরণের ঝামেলায় পড়তে পারেন। বাস্তু অনুসারে, কিছু জিনিস ঘরে রাখা উচিত নয়, তা না হলে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। জেনে নিন সেই ৬টি জিনিস যা ঘরে রাখা উচিত নয়।
ভাঙা মূর্তি: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ভাঙা মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এর ফলে বাস্তু দোষ হয়। ভাঙা মূর্তি রাখলে রোগ বাসা বাঁধে। আপনার বাড়িতে যদি ভাঙা ছবি বা দেবদেবীর মূর্তি থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন।
ভাঙা ডাস্টবিন: বাস্তু মতে, ভাঙা ডাস্টবিন কখনই ঘরে রাখবেন না। যেসব বাড়িতে ভাঙা ডাস্টবিন থাকে, সে বাড়িতে প্রায়ই কোনো না কোনো রোগ-বালাই থাকে এবং বাড়ির অধিকাংশ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ভাঙা জিনিস: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, যে কোনও ভাঙা জিনিস ঘরে রাখা কখনওই উচিত নয়। কারণ, এটি বাস্তুতে নেতিবাচক শক্তি বাড়ায়। এর প্রভাবে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। তাই ঘরে কোনো ভাঙা জিনিস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা ফেলে দিন। রান্নাঘরেও যদি ভাঙ্গা বাসন বা ক্যান থাকে, তাহলে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।
পুরনো খবরের কাগজ: ছেঁড়া বই বা পুরনো খবরের কাগজ রাখলে বাস্তু দোষ হয়। এতে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি হয় এবং প্রায়শই বাড়ির লোকেরা শারীরিক বা মানসিকভাবে অস্থির থাকেন। যদি আপনার বাড়িতে পুরানো বই ছিঁড়ে গিয়ে থাকে তবে সেগুলি সরিয়ে ফেলুন বা যাঁর প্রয়োজন, তাঁকে দিয়ে দিন।
শুকনো গাছ: বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরে কখনওই শুকনো বা কাঁটাযুক্ত গাছ রাখা উচিত নয়। বাড়িতে শুকনো বা কাঁটাযুক্ত গাছ থাকলে তা পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের প্রভাবিত করে এবং তাদের স্বাস্থ্য প্রায়ই খারাপ হয়।
মূল দরজার সামনে মন্দির: আপনার বাড়ির মন্দির কখনওই বাড়ির মূল দরজার সামনে হওয়া উচিত নয়। কারণ, মন্দিরের অবস্থান এমন হলে এখানে দেব-দেবীরা থাকেন না এবং পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।