এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করলেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। কারণ, এই প্রথম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পড়ুয়াদের হোম সেন্টারে (নিজেদের স্কুলে) অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ৪৪ দিনের মধ্যেই আজ উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হচ্ছে।
এ বছর পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ৭,২০,৮৬২ জন পড়ুয়া। এ বারের উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেছেন মোট ৬,৩৬,৮৭৫ জন। এ বছরে পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। ছেলেদের মধ্যে পাশের হার ৯০.১৯ শতাংশ আর মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৬.৯৮ শতাংশ।
এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭ জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশ বা তার বেশি। জেলাগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, কালিংপং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া। পাশের হারে তালিকার শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।
এ বারের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন ৪,৯৭,৮০৯ জন পড়ুয়া। শতাংশের বিচারে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ৭৮.১৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন।
এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্দু ভাষাভাষিদের মধ্যে পাশের হার ৭৫.২ শতাংশ। ভাষাভাষিদের মধ্যে শীর্ষে মহম্মদ বিলাল, তিনি ৯৭.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তিনি ৫০০-এর মধ্য ৪৮৭ পেয়েছেন।
এ বছর নেপালি ভাষাভাষিদের মধ্যে পাশের হার ৯৩.১৯ শতাংশ। নেপালি ভাষাভাষিদের মধ্যে শীর্ষে রিয়া কালিকোটে, তিনি ৯৫.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তিনি ৫০০-এর মধ্য ৪৯৭ পেয়েছেন।
এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সাঁওতালি ভাষাভাষিদের মধ্যে পাশের হার ৯২.৬৭ শতাংশ। সাঁওতালি ভাষাভাষিদের মধ্যে শীর্ষে শিলি টুডু, তিনি ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তিনি ৫০০-এর মধ্য ৪৮৮ পেয়েছেন।
২০ জুন সকাল ১১টা থেকে রাজ্যের মোট ৫৬টি ডিস্ট্রিবুউশন সেন্টার থেকে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মার্কসিট আর সংশাপত্র নির্দিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।