চোখের জলে উমাকে বিদায় জানিয়েছে বাঙালি। ফের এক বছরের প্রতীক্ষা। নতুন করে উমার বাপের বাড়ি আসার অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছিল দশমী। সেদিনই বিকেল থেকে কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলোতে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়ে যায়।
তবে বৃহস্পতিবার হওয়ায় সব প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যা আরতির পর সাড়ে ছটা নাগাদ বেলুড় মঠের গঙ্গাতীরে সম্পন্ন হয় মাতৃ প্রতিমার নিরঞ্জন পর্ব।
চিরাচরিত প্রথা মেনে শতাব্দী প্রাচীন টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয় ইছামতি নদীতে৷ যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ।
শুক্রবার সকাল থেকেও প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয় কলকাতায়। বাবুঘাটে এক এক করে প্রতিমা আসতে শুরু করে।
বাবুঘাট পাশাপাশি বাগবাজার, বাজে কদমতলা, নিমতলাসহ কলকাতা ও হাওড়া জেলার নানা ঘাটে দেবী বিসর্জন শুরু হয়েছে।
তবে শুধু আজ নয়, কাল ও পরশুও প্রতিমা বিসর্জন হবে। সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা পুরসভা।
যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ঘাট পরিষ্কার করা হচ্ছে। কাঠের পাটাতন, খড় ইত্যাদি তৎপরতার সঙ্গে তুলে নেওয়া হচ্ছে জল থেকে।
শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয়েছে দশমীর দিনই। জেলার পুজো কমিটিগুলোও প্রতিমা বিসর্জন শুরু করেছে। অনেক ক্লাবের মণ্ডপে এখনও প্রতিমা আছে। তাও শিগগিরই বিসর্জন হবে।