অপর্যাপ্ত জোগানের ফলে গত সোমবার থেকে কলকাতায় সব টিকা কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন দেওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে। হাতে কোভ্যাক্সিনের পর্যাপ্ত ডোজ হাতে এলেই আবার টিকা শুরু করা যাবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে কোভিশিল্ড যাঁরা নিয়েছেন বা নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮ ঊর্ধ্বে বয়স, শহরের এমন প্রায় ৮৭ শতাংশ নাগরিকের করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
তবে নথি ঘেঁটে আর বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করে পুর কর্মীরা দেখেছেন, ৮৭ শতাংশ নাগরিকের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন শহরের মোটামুটি ৪০ শতাংশ বাসিন্দা।
কলকাতা পুরসভার মোট ১৪৪টি টিকাকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, পৃথক ১৮টি মেগা সেন্টার থেকে করোনার টিকা দেয় পুরসভা। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেতে সমস্যা হচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের।
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, করোনার টিকা যে কেউ, দেশের যে কোনও টিকা কেন্দ্র থেকেই নিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রয়োজন। এই নিয়মে কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে অনেকেই ভোরবেলা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিয়ে যাচ্ছেন। পরের দিকে এসে টিকা পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই সমস্যায় নিয়ন্ত্রণ পেতে টিকাদানের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে কলকাতা পুরসভা। নতুন নিয়মে কলকাতার টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি থেকে আগে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে, পরে প্রথম ডোজ! বুধবার কোভিড রিভিউ কমিটির বৈঠকে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ কথা জানিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে কলকাতার টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে। নতুন নিয়মে সকাল থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত যাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। দুপুর ২টোর পর থেকে বিকেল পর্যন্ত যাঁরা করোনা টিকার একটিও ডোজ পাননি, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে।