Sovan Chatterjee Baisakhi Banerjee: নবান্ন গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে তাঁরা সেখানে হাজির হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বাংলার রাজনীতিতে এমন জুটি খুব কম দেখা গিয়েছে। আগে ছিলেন তৃণমূলে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। সেখানে মতপার্থক্য হলে একসঙ্গেই দল ছাড়েন। বলা হচ্ছে, তাঁরা এখন তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক শেষে জানান, অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় অনেকদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। যদিও পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি কার্যত 'দলহীন' অবস্থায় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ও বিজেপি ছেড়ে দেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের অন্যতম মুখ বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তবে সেসব ছেড়ে দেন তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।
কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট নিয়ে তাঁর তখনকার দলের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয়। এবং তারপর তিনি দল ছেড়ে চলে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে পরে তিনিও দল ছেড়ে দেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত। শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের বিধায়ক।
২০২১ সালে নারদা মামলায় ৩ তৃণমূল নেতার সঙ্গে শোভনকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করেছিল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে বাড়ল দর, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার এই স্টক মাল্টিবাগার
আরও পড়ুন: সিডবি-তে চাকরি, বেতন ৭০ হাজার টাকা, যোগ্যতা-আবেদন কী করে?
আরও পড়ুন: রাতারাতি কোটিপতি বানিয়েছে এই তোয়ালে কোম্পানি, জবরদস্ত রিটার্ন
সে সময় মনে করা হচ্ছিল, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তখন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন শোভন।
টিকিট নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় দলই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলন বিজেপির তৎকালীন কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়ক।
শোভন বেহালা পূর্বের বিদায়ী বিধায়ক ছিলেন। তাঁকে দল ওই কেন্দ্র থেকে টিকিট দেয়নি। বেহালা পূর্বে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে।
শোভন ছিলেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী। তখন পূর্ব কলকাতা জলাভূমি পরিচালন পর্ষদের অন্যতম সদস্য করা হয় বৈশাখীকে। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে বদলি করে দেওয়া হয় বৈশাখীকে। তিনি সেখানকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন। বদলি করা হয়েছি রাজা রামমোহন রায় কলেজে।
এই বদলি নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। যার জেরে তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কিছু মন্তব্য করেছিলেন। সে সব পেরিয়ে এখন তাঁরা ফের তৃণমূল যোগ দেবেন জল্পনা শুরু হয়েছে।