মৌসুমী অক্ষরেখা এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনই পূর্বভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এর পাশাপাশি কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা গয়া হয়ে তারপর মালদা দিয়ে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে রয়েছে একটা ঘূর্ণাবর্ত। আর এর ফলে উপকুলের জেলাগুলোতে বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হবে। অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে ৪ এবং ৫ আগস্ট ভারী বৃষ্টি হবে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ৪৮ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার বাদ দিয়ে ভারী বৃষ্টি হবে। দুই দিনাজপুর, মালদায় সেখানে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে।
কলকাতার মেঘলা আকাশ থাকবে। দিনের বা রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না।
বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হবে। বাকি জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়ায় থাকবে।
উপকূলের জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। দু-একজায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে। কলকাতায় বৃষ্টি হবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে। ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলের জেলায়।
বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। কখনও প্রবল, কখন টিপটিপ করে। আর এ কারণে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়।
এর ফলে প্রবল সমস্যা পড়েন মানুষ। গাড়ি চলাচলে নাজেহাল হতে হয় তাদের। যানবাহনের গতিবেগ ধীর গতির হয়ে যায়। জল জমে যাওয়ার ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃষ্টির জেরে প্রবল সমস্য়া তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। আর দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
বাড়িতে, রাস্তায় জল জমে যায়। ফলে নাকাল হতে হয় তাঁদের। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনাও ঘটেছে।