করোনার কারণে বিঘ্নিত মা ও শিশুদের পুষ্টি প্রকল্পের ঘাটতি পূরণ করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এখন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল বা ফর্টিফাইড রাইস সরবরাহ করা হবে।
এই ঘোষণা করেছে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাস থেকেই এই প্রকল্প শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে FCI-এর কাছ থেকে ফর্টিফাইড রাইস সংগ্রহ করবে রাজ্য সরকার। তবে আগামী দিনে রাজ্যের রাইসমিলগুলির কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি FCI এবং রাজ্যের বিভিন্ন রাইস মিলের মালিকদের সঙ্গে খাদ্য দপ্তর বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাধারণ চালের পরিবর্তে বিশেষ পুষ্টিগুণসম্পন্ন চাল সরবরাহ করার জন্য মিল গুলিকে চালের দামে অতিরিক্ত পয়সা দেওয়া হবে।
কেজিপ্রতি অতিরিক্ত ৭৩ পয়সা করে দেওয়া হবে। এজন্য সরকারের সাড়ে তিন কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে।
রাজ্যের নারী শিশু ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নারী ও শিশুদের পুষ্টি প্রকল্পে রাজ্যে উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৭৩ লক্ষ। যার মধ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রসূতি এবং গর্ভবতী।
এদের মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার স্কুল ছাত্রী রয়েছে। এদের পুষ্টিকর চাল সরবরাহের জন্য মাসে প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিকটন চাল প্রয়োজন।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে।
কীভাবে স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে মসৃণভাবে ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা দেখবে ওই কমিটি। ক্ষতিপূরণের সামগ্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা ও পরামর্শ চেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে রাজ্যের অর্থ, স্বাস্থ্য, কলকাতা পুরসভা-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থ দফতরের ছাড়পত্র এলেই এই প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে শুরু করে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হবে ওই ক্ষতি পূরণ। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ১৯,৩৭৬ জন করোনায় মারা গিয়েছেন।