Firhad Hakim on Anubrata Mondal's Red Beacon: তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানোর অনুমতি ছিল না। সেই গাড়ি থেকে বাতি খুলে নেওয়া হবে। এমন গাড়ি সিজ করে দেওয়া হবে। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন কালকাতার মেয়র, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
এদিন এ ব্য়াপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, গাড়ি সিজ করে কেস দেব। সবাইকে বলা হয়েছে। আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, আমি অলরেডি ইনফর্ম করে দিয়েছি, কারও গাড়িতে আমাদের জুরিসডিকশন ছাড়া থাকবে না লালবাতি, নীলবাতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এটা বলে দিয়েছেন এর আগে। অনুব্রত এনটাইটেল্ড ছিলেন না। যদি লাগিয়ে থাকে, তা হলে খুলে দেবে।
আরও পড়ুন: রাত-বিরেতে ঘুঙুরের শব্দ, ধূপধুনোর গন্ধও, শান্তিপুরের সেই বাড়িতে যাবেন?
আরও পড়ুন: তেতোর অনেক গুণ, হিসেব মতো না খেলেই ভয়ঙ্কর বিপদ
আরও পড়ুন: এক চার্জেই কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর, কামাল মহিন্দ্রা Treo-র
তিনি আরও বলেন, নোটিফিকেশন বেরিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সবাইকে অনুরোধ করেছিলেন। অবৈধ ভাবে নীলবাতি, লালবাতি কারা চড়বে একটা স্পেসিফিক গাইডলাইন সরকার থেকে বেরিয়েছিল। আমরাও বের করেছি।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি এ ব্য়াপারে কড়া হতে। নীলবাতি-লালবাতি আবার অপব্যবহার হচ্ছে। এটা এখনই বন্ধ করবে। নোটিফিকেশন ছাড়া যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের শুধু বাতি খোলা নয়, গাড়িটাও সিজ করে রাখতে হবে। কেস দিয়ে। মিসইউজ হচ্ছে। কারা কারা পাবেন, আমরা পাব না। মন্ত্রী, মেয়র পাবেন না। এটা অবৈধ।
ফিরহাদ বলেন, পুলিশ দেখে নেবে। পুলিশ মুখ তো চেনে। নোটিফিকেশন আছে। আমি আবার পুলিশ-প্রশাসনকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দেখে নিয়ে আমাদের ইমিডিয়েট এটা বন্ধ করতে হবে। ওয়েবসাইটেই সেই তালিকা রয়েছে। প্রেস লেখা গাড়িও ঘুরছে। সেটাও ধরা উচিত। যাদের অনুমতি ছাড়া প্রেস লিখে নিল। মিসইউজ হওয়া উচিত নয়। একটা যখন হয়, তখন আমরা হইহই করি। এটা না করে সবসময় অ্যাক্টিভ থাকতে হবে।
মেট্রো নিয়ে বৈঠক
আমি ঈদের পর মিটিং করব। আমি সর্বোচ্চ অথরিটিকে জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এটা ঠিক করার চেষ্টা করব। কোথায় হবে, ঠিক হয়নি।
পুরসভার কর্মীর মৃত্যু নিয়ে
কাজ করার সময় কলকাতা পুরসভার এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তিনি পুরসবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। এমন কর্মীদের দাবি, তাঁরা ১৭-১৮ বছর ধরে কাজ করছেন। পিএফ, ইএসআই নেই। এ ব্যাপারে ফিরহাদ জানান, এটা তাঁর জানা নেই। দেখে নিয়ে কথা বলবেন।