DA Case West Bengal: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠন। তার নোটিশ পাঠানো হয়েছে মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবের কাছে। আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠিয়েছে সরকারী কর্মচারী পরিষদ।
ডিএ দিতে হবে, বলেছিল আদালত
সংগঠন জানিয়েছে, নোটিশের প্রাপ্তি স্বীকার করার পর ৭ দিনের মধ্যে আগের রায়ের মান্যতা না দেওয়া হলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত বকেয়া ডিএ মিটিয়ে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
বিজেপি-র সংগঠনের দাবি
সরকারী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, চলতি বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের এজলাসে ডিএ মামলার রায়দান করা হয়। এই মামলায় তাঁদের সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদ যুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: বাম্পার রিটার্ন, সেই শেয়ারে অংশীদারি বাড়ালেন ডলি খান্না
আরও পড়ুন: Break-up-এর পর জুড়তে চান সম্পর্ক? মেনে চলুন এই ৪ ফর্মুলা
আরও পড়ুন: খেয়েদেয়ে হাতে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ডিগ্রি? ফ্রান্সে সে সুযোগ রয়েছে
তিনি জানান, এই রায়ে ট্রাইবুনাল বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার যে রায় দিয়েছিল, তা বহাল রাখা হয়। এবং তা কার্যকর করতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেই হিসেবে গত ১৯ আগস্ট তিন মাস সময়সীমা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার দিন কয়েক আগে এক রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে হাইকোর্টে। লক্ষ্য করা গেছে, ওই রিভিউ পিটিশানে তাদের সংগঠনকে যুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, "অর্থাৎ আমাদের সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদ মূল মামলায় যুক্ত থাকলেও রিভিউ পিটিশন থেকে বাদ পড়ে যায়। এখান থেকেই বোঝা যায় যে রাজ্য সরকার পরিষদের সঙ্গে কী রকম আইন বহির্ভূত আচরণ করছে। আমরা তাই শুক্রবারা (১৯ অগাস্ট) তিন মাস পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় আজ, শনিবার (২০ অগাস্ট) রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করলাম।"
এক সপ্তাহ সময়
এ ব্য়াাপারে দেবাশিসবাবু জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে যদি রাজ্য সরকার ২০ মে-র রায়ের মান্যতা না দেয়, তাহলে তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দাখিল করবেন।
বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
এদিকে, কিছুদিন আগে, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের শীর্ষ কর্তাদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কর্মীদের বকেয়া ডিএ না-মেটানোয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ডিএ-এর একাংশ মেটান হয়। এবং তারপর আধিকারিকদের বেতন করা চালু হয়।