শীত মানেই হরেক রকমের শাক-সবজি। নানা রকমের শাক, কপি, গাজর, মচটরশুঁটি, পেঁয়াজকলি-সহ আরও অনেক কিছু পাওয়া যায়। বিশেষ করে কপির কথা না বললেই নয়।
কমবেশি সব বাড়িতেই বাঁধাকপি রান্না হয়। তবে ফুলকপির যেহেতু একাধিক পদ রান্না করা যায় তাই এবেলা ওবেলা ফুলকপি খাওয়া যায়। যেমন, ফুলকপির ঝোল, ডালনা, ভাজা, পকোড়া ইত্য়াদি।
তবে জানেন কি ফুলকপি খাওয়া সবার জন্য ভালো নয়। খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিপদে পড়তে পারেন। শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
যেমন, যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়। কারণ ফুলকপি শরীরে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
যাদের রক্তচাপ বেশি থাকে তাদের ফুলকপি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ফুলকপিতে পটাশিয়াম বেশি থাকে। পটাশিয়াম বেশি খেলে রক্ত বেশি গাঢ় হয়।
গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ফুলকপিতে পেট ফাঁপতেও পারে। আর যাদের কিছু খেলেই পেট ফাঁপার সমস্যা হয় তারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
ফুলকপি কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ এতে অক্সালেট থাকে। এটি এমন যৌগ যা কিডনিতে পাথর গঠন করতে পারে।
তবে ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে। ফুলকপিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের মতো রোগও প্রতিরোধ সম্ভব এই সবজিতে।
এতে থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন। যা হাড়কে শক্তিশালী করে। কারও গাঁটে ব্যথার মতো সমস্যা থাকলে ফুলকপি খাওয়া উচিত।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ফুলকপি ভালো। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।