Weight Control Foods: ওজন নিয়ে আমাদের বরাবর মাথাব্যথা, কিছুতেই কমে না। ওজন বাড়া চলবে না। বাড়লেই মুশকিল। কিন্তু কীভাবে ওজন কমাব, তা ঠিক করে উঠতে পারি না। অনেকের সকালে দৌড়নোর বা জিমে যাওয়ার মতো সময় নেই। তাই অনেকেই সঠিক ডায়েটের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না সব সময়। আজ আমরা যে খাবারের কথা বলব, সেগুলি যত ইচ্ছা খান। ওজন কিছুতেই বাড়বে না।
যেসব খাবার পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়ে না, দেখেনিন একঝলকে। নেগেটিভ ক্যালরি বলে একটা কথা আছে। যেসব খাবার খেলে ওজন বাড়ে না। বরং ওজন কমে যায়। সম্প্রতি নেগেটিভ ক্যালরি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ভাবতে পারছেন এমন খাবার যেটা পরিপাক হওয়ার জন্য শরীরের বিপুল পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়। সুতরাং ওজন কমাতে শরীরচর্চার পাশপাশি হাতে এক বাটি পপকর্ন নিয়ে আপনার ডায়েটে আরো যেসব নেগেটিভ ক্যালরির খাবার যুক্ত করে নিতে পারেন
পপকর্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের মধ্যে অন্যতম। পপকর্নে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের পাশপাশি আশ্চর্যজনকভাবে কম ক্যালরি আছে। এছাড়াও এটি খেলে আপনার চোয়ালের ব্যায়ামও হয়। তাহলে সব দিকে ভালো।
স্ন্যাক্স হিসেবে ভালো আবার ত্বকের জন্যও ভালো- গাজর। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজতে ভরপুর। এছাড়াও ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে-র ভাণ্ডার। স্যালাডে নিয়মিত রাখুন এই নেগেটিভ ক্যালরির খাবার, গাজরকে। ওজন কমাতে এবং শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই খাবারের জুড়ি মেলা ভার!
যে কোনও বেরি জাতীয় ফলকেই চোখ বুঝে নেগেটিভ ক্যালরির তালিকায় ফেলা যায়। আঙুর, ব্লুবেরী, ব্ল্যাকবেরী সবই ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের খনি। ওজন কমায় এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখে।
নেগেটিভ ক্যালরিযুক্ত খাবার ব্রকলি। এতে আছে, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সবজিতে প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৪ গ্রাম ক্যালরি আছে। শুধু ওজন কমানোর জন্য না, বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে ব্রকলিতে অ্যান্টি-ক্যান্সারের গুণও আছে।
প্রতিদিন একটি আপেল, দূরে রাখে ডাক্তারকে। কথাটা কী আর এমনি এমনি বলা হয়! আপেলের মধ্যে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে পেকটিন থাকে যা ওজন কমানোর পাশপাশি শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। আপেল প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫০ গ্রাম ক্যালরি আছে।