এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয় যে, যাঁরা প্রথমবার সেক্স করেছেন শুধুমাত্র তারাই ভুল করবেন। অনেকেই আছেন যাঁরা অজান্তেই বছরের পর বছর ধরে সঙ্গমের সময় একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে চলেছেন। যার ফলে অকালেই তাঁদের যৌন জীবনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সুস্থ জীবনের জন্য যৌনতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তবে আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সাথে সঙ্গমের আগে ও পরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত করেন, তাহলে তৃপ্তিদায়ক দীর্ঘ যৌন জীবন আপনিও পেতে পারেন।
বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে সঙ্গমের ক্ষেত্রে আগ্রহ কমে আসা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা, দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি মহিলাদের তুলনায় বেশি লক্ষ্য করা যায়। কারণ, অনেক পুরুষই অলসতা এবং অসাবধানতার ফলে সঙ্গমের আগে ও পরে কয়েকটি জরুরি বিষয় উপেক্ষা করেন। চলুন তৃপ্তিদায়ক দীর্ঘ সঙ্গমের স্বাদ পাওয়ার ৫টি অপরিহার্য বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
সহবাসের পর প্রস্রাব করা শুধু মহিলাদের জন্যই নয়, পুরুষদের জন্যেও অত্যন্ত জরুরি। কারণ, যৌনাঙ্গ সুস্থ রাখতে সঙ্গমের পর প্রস্রাব করা করা জরুরি বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা না করলে ইউরিন ইনফেকশনের (মূত্রনালীর সংক্রমণ) ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সহবাসের আগে খাবার খেতেই পারেন। কিন্তু সঙ্গমের এবং খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। খাবার খাওয়ার পরে পরেই সঙ্গমের ফলে হজম সংক্রান্ত গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পরই সহবাস করুন। যে সব পুরুষ তা করেন না, তাঁরা তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভাটা পড়ে তাঁদের যৌগ জীবনেও।
অনেকেই সহবাসের সময় অন্তর্বাস খুলে ফেলেন কিন্তু পরে একই অন্তর্বাস পরেন। কিন্তু আমাদের এটা করা উচিত নয়। কারণ ‘ফোর প্লে’ পর্যন্ত দুজনেই অন্তর্বাস পরে থাকেন। ততক্ষণে যৌনাঙ্গ থেকে হরমোন, বির্যরস নিঃসৃত হয়। তাই ওই পোশাক পরে ঘুমানো উচিত নয়। সঙ্গমের পর পোশাক বদলে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
অনেকেই সঙ্গমের পর সঙ্গীকে ছেড়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন বা মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। এই আচরণ বা অভ্যাস যৌন জীবনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আপনার সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সঙ্গমের পর সঙ্গীর সঙ্গে, তাঁকে জড়িয়ে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। এতে সঙ্গমের তৃপ্তিসুখ দীর্ঘায়ীত হবে।
সঙ্গমের পর অনেকেই শারীরিক ভাবে দুর্বল বোধ করেন। কিন্তু তাই বলে তখন খুব পেট ভরে খাওয়া মোটেই উচিত নয়। এই সময় বড়জোড় উষ্ণ দুধ, এক গ্লাস জল, একটু পানীয় চলতে পারে। তবে ফল, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতিয় খাবার বা খুব টক খাবার একেবারেই খাবেন না।