স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিটি ভাল-মন্দ সিদ্ধান্তই একজন ব্যক্তির বায়োলজিক্যাল বয়সকে দীর্ঘ বা কম করার জন্য দায়ি। আমরা কি খাব? কতটা খাব ? আমাদের মেজাজ, ব্যক্তিত্ব, সবকিছুর সঙ্গে আমাদের বয়সের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। মেমারির সঙ্গে জুড়ে থাকা সমস্যা, বলিরেখা, দুর্বল পেশী, খারাপ স্কিন এবং ক্লান্তি সবই বার্ধক্যের লক্ষণ। দৈনন্দিন অনেক বদ অভ্যাস এই সবের জন্য দায়ি হতে পারে। চ চলুন আজকে এমন সাধারণ কয়েকটি বদ অভ্যাসের কথা বলি যা বার্ধক্যের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে।
সারাদিন বসে থাকা - গতিহীন জীবনযাত্রা বার্ধক্যজনিত সমস্যাকে দ্রুত করে। সারাদিন চেয়ারে বসে থাকাও মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এটি কোভিড, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগ থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই বদ অভ্যাস একজন মানুষকে দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার- অস্বাস্থ্যকর খাবার মানুষের আয়ু কমাতে বড় ভূমিকা রাখে। হাই-স্যাচুরেটেড খাবার, খারাপ কোলেস্টেরল, সুগার এবং সোডিয়াম শরীরে প্রদাহ বাড়াতে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অস্বাস্থ্যকর জিনিস খেলে মানুষের আয়ু দ্রুত কমে যায়। তাই বাজারে বিক্রি হওয়া অস্বাস্থ্যকর খাবার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।
হাসিখুশি থাকুন - আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে না হাসেন, তাহলে শীঘ্রই কমেডি শো বা সিনেমা দেখা শুরু করুন। হাসির অভাব স্ট্রেস লেভেল বাড়ায় যা আমাদের শরীরের কোষের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। হাসলে শরীরে ভালো অনুভূতির হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের ফিট ও সুস্থ রাখে।
ঘরে বন্দি থাকা- করোনা মহামারি আসার পর থেকে সবাই ঘরে বন্দি থাকার অভ্যাস করে ফেলেছে। কিন্তু তা করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই অবিলম্বে রানিং শু- পরুন এবং বাইরে হাঁটার জন্য প্রস্তুত হোন। ঘরে বন্দি থাকার ফলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়।
বেশি স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকা - আপনার ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থেকে নির্গত আলো বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতেও কাজ করে। গবেষণা অনুসারে, মোবাইল ফোনের স্ক্রীন থেকে নির্গত আলো একজন ব্যক্তির জীবনরেখাকে প্রভাবিত করে।
কম ঘুম হওয়া- সুস্থ জীবনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় বলা হয়েছে, অপর্যাপ্ত ঘুম আমাদের কোষের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই তরুণ থাকতে ভালো ঘুম খুবই জরুরি।