প্রোটিন শুধু আমাদের পেশীকে শক্তিশালী করে না, শরীরে শক্তি জোগাতেও কাজ করে। প্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সাহায্য করে যা সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাজ করে। এটি আমাদের ত্বক, এনজাইম এবং হরমোনের বিল্ডিং ব্লকও। শরীরে প্রোটিনের অভাব আমাদের জন্য বড় অসুবিধার কারণ হতে পারে। কিছু লক্ষণ শরীরে প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে, যা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ফোলা- শরীরের যে কোনো অংশে ফোলাভাব আসতে শুরু করলে তাকে ডাক্তারি ভাষায় এডিমা বলে। চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের সিরাম অ্যালবুমিনের ঘাটতির কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যায়, যা রক্তের তরল অংশে বা রক্তের প্লাজমাতে উপস্থিত প্রোটিন। তাই শরীরের কোনো অংশে ফোলা ভাব উপেক্ষা করবেন না।
লিভারের সমস্যা- শরীরে প্রোটিনের অভাবও লিভার সংক্রান্ত সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আসলে প্রোটিনের অভাবে লিভারের কোষে চর্বি জমতে শুরু করে। এতে লিভারের প্রদাহ, ক্ষত বা লিভার ফেইলিউরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যারা মোটা বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ত্বক, চুল এবং নখ- প্রোটিনের অভাবের প্রভাব আমাদের ত্বক, চুল এবং নখেও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। প্রোটিনের অভাবে ত্বক ফাটা শুরু হয়। ত্বকে লাল দাগ বা ফাটা ভাব দেখা দিতে শুরু করে। চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পড়তে শুরু করে। নখ পাতলা হতে পারে এবং তাদের আকৃতিও খারাপ হতে পারে।
দুর্বল পেশী- পেশী শক্তিশালী করতে প্রোটিন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। যদি শরীরে প্রোটিনের অভাব হয়, তবে শরীর বডি অ্যাকষন এবং প্রয়োজনীয় টিস্যুগুলির জন্য হাড় থেকে প্রোটিন গ্রহণ শুরু করে। এতে পেশী দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সংক্রমণের ঝুঁকি- প্রোটিনের অভাবে আমাদের ইমিউন সিস্টেমেও খারাপ প্রভাব পড়ে। প্রোটিনের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলস্বরূপ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে টানা ৯ সপ্তাহ ধরে প্রোটিনের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।